তবু মুশফিকের সঙ্গে মনে পড়বে নাসিরকেও


প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৭

নাসির হোসেন প্রসঙ্গে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহ কোনো রাগঢাক নয়, একেবারে সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- কেন তিনি দলে নেই। শেষ দুই বছরে নাসিরের পরিসংখ্যান ও জাতীয় দলে তার অবদানের দিকে নজর দিতে বলেছেন টাইগারদের লঙ্কান কোচ। এমনকি পুনরায় দলের ফেরার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন তিনি- প্রচুর রান করতে হবে নাসিরকে।

হাথুরুর এই কথার পর নাসিরকে নিয়ে হাহুতাশ একটু কমলো কি সাধারণের? মোটেও না। নাসির ভক্তদের মনটা তো আরও বিষিয়ে দিয়েছেন তিনি? অন্তত ফেসবুক-টুইটারের যুগ তো তা-ই ধারণা দিচ্ছে। তার ওপর জাতীয় ক্রিকেট লিগে রংপুর বিভাগের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসেছেন নাসির। দল যখন নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে, ব্যর্থ হচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা, তখন নাসিরকে চাই, ‘তখন নাসিরকে চাই’ কথাটা উঠছেই।

মঙ্গলবার টাইগাররা নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে ‘নাসির’ নামক হাহাকারটা আরও বাড়ছে। সেটি বাড়াচ্ছে হাথুরুর ওই পরিসংখ্যানই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে চারটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ, সেখানে দৃষ্টিকটুভাবে ব্যর্থ ছিলেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। 

২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে অলআউট হয় ৭০ রানে। এর মাঝে ২০১২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে কিউইদের করা ১৯১ রানের জবাবে ১৩২ রান করে বাংলাদেশ। ৫৯ রানের বড় পরাজয়েও মান যা বেঁচেছিল সেটি ওই নাসিরের কারণেই। অন্যদের আসা-যাওয়ার মাঝে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নাসির।

এরপর ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ হারে ১৫ রানে। নিউজিল্যান্ডের ২০৪ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১৮৯ রানে। সেই ম্যাচে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৫০। নাসির করেছিলেন ২৮ রান।

braverdrink

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের চার ম্যাচের এই পরিসংখ্যানই মনে করিয়ে দিচ্ছে, কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের ফিফটির ইনিংস ছিল মাত্র দুটি। যার একটি নাসিরের, অন্যটি মুশফিকের। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, মঙ্গলবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এই দুজনের থাকছেন না কেউই। পারফরম্যান্সের কারণে নেই নাসির, ইনজুরির কারণে মুশফিক।

নাসিরের বিষয়টি কোচ হাথুরুকে ছুঁয়ে যাক আর না যাক, মুশফিককে যে তিনি মিস করছেন- এটা বলা বাহুল্য। মিস করছে আসলে পুরো দেশই। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তো বলেই দিয়েছেন, মুশফিকের বিকল্প এখনও বাংলাদেশে কেউ আসেননি।

ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুশফিকের অভাব আরও বড় হবে না তো? অন্য ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারলে হয়তো- না। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের চার টি-টোয়েন্টি তো মনে করিয়ে দিচ্ছে মুশফিকের সঙ্গে নাসিরকেও।

কিউইদের বিপক্ষে দুটি আলাদা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিফটি করেছিলেন মুশফিক ও নাসির। দুটিতেই দলীয় সংগ্রহ ছিল ভালো। অন্য দুটিতে একশ’র নিচে অলআউট বাংলাদেশ! কাল তাই মুশফিক এবং নাসিরের পর নতুন কাউকে খুঁজে পেতে চাইবেন দর্শকরা।

এনইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।