আবাহনীর সাফল্যের কারিগর কোটান


প্রকাশিত: ০৬:০৭ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

যে কোনো ক্ষেত্রেই সাফল্য পেতে প্রথমে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। এবারের ফুটবল মৌসুমে তেমন পরিকল্পনাই তৈরি করেছিল আবাহনী। যার ফল তিনটি ট্রফির দুটি ঘরে তোলা। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছে নতুন পরাশক্তি চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে।

তবে ফেডারেশন কাপ ও সবচেয়ে মর্যাদার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ঠিকই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আকাশি-হলুদরা। তাদের এ সাফল্যের পেছনে আছে তিন বিদেশির অবদান। অস্ট্রিয়ান কোচ জর্জ কোটান এবং দুই বিদেশি ফুটবলার ইংল্যান্ডের লি টাক ও নাইজেরিয়ার সানডে চিজোবার কৃতিত্বই বেশি আবাহনীর দুইটি ট্রফি জয়ের।

জর্জ কোটান আবাহনীতে এসেছিলে মৌসুমের মাঝামাঝি সময়। দলটি মৌসুম শুরু করেছিল ক্রোয়েশিয়ার দ্রাগন মানিচকে নিয়ে। কিন্তু স্বাধীনতা কাপের কয়েকটি ম্যাচ বাকি থাকতেই তাকে বিদায় করে আবাহনী। এর পরই আরেকজন বিদেশির সন্ধান করে তারা। সেখানে ক্লাব কর্মকর্তারা মুন্সিয়ানার পরিচয় দেন। উড়িয়ে আনেন বাংলাদেশের ফুটবলে পরিচিত মুখ জর্জ কোটনাকে।

২০০৩ সালে এ কোটানের হাত ধরেই বাংলাদেশ প্রথম পেয়েছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। তারপর তিনি এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রে। বাংলাদেশের ফুটবলের খোঁজ খবর রাখা এ বর্ষিয়ান কোচকে এনে বাজিমাত করে আবাহনী।

এক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা উদ্ধার করেছিল আবাহনী। শুক্রবার রহমতগঞ্জকে হারিয়ে থাকলো অপরাজিত। কোটানের অধীনেই আবাহনী করলো প্রিমিয়ার লিগে নতুন রেকর্ড। তারাই প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলো প্রিমিয়ার লিগে। ম্যাচ শেষ হতেই সমর্থকরা ফুলের মালা গলায় পরিয়ে দেন কোটানের গলায়। পুরনো দল যখন আনন্দ-উৎসবে মাঠ প্রদিক্ষণ করছিলো তখন মাল গলায় ডাগ আউটে দাঁড়িয় তা উপভোগ করছিলেন কোটান।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছিলেন। শুক্রবার করলেন ক্লাবকে অপরাজিত রাখার পর। ‘আমি ছেলেদের সব সময় বলতাম-তোমার পরিশ্রম করো, সাফল্য আসবে এমনিতেই ধরা দেবে। সেটাই হয়েছে। আমরা ডাবল চ্যাম্পিয়ন। ফেডারেশন কাপের পর জিতলাম লিগ। আমি পুরো কৃতিত্ব দেবো ছেলেদের। দায়িত্ব নিয়েই তাদের বলেছিলাম, সুন্দর ফুটবল খেলবে। আমি সুন্দর ফুটবলের পূজারি। ছেলেরা আমার কথা মেনেই শ্রম দিয়েছে। ভালো ফুটবল খেলে দুটি ট্রফি উপহার দিয়েছে ক্লাবকে। আজ আম সুখী এক মানুষ’- ম্যাচের পর বলেন আবাহনীর সাফল্যের কারিগর।

আরআই/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।