‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে স্বাচ্ছন্দে খেলা কঠিন’
সাব্বিরের রান আউটকে ভাবা হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে হারের বড় কারণ। সে ভুল বোঝাবুঝির রান আউটের পিছনে ইমরুল কায়েসের ভূমিকাও হচ্ছে সমালোচিত। শুধু সাব্বিরের ৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটির অপমৃত্যু ঘটেছে বলেই নয়। একমাত্র ওয়েল সেট ব্যাটসম্যান হিসেবে ইমরুলের দায়িত্ত সচেতনতাও হয়েছে প্রশ্নবিদ্ধ। অনেকেরই অভিযোগ, তামিম আর সাব্বির আউট হবার পর কোথায়, সঙ্গে দলকে এগিয় নেবেন, তা না, নিজেই পঞ্চাশের ঘরে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন ইমরুল।
আজ দুপুরে স্বদেশী সাংবাদিকদের কাছেও ঐ প্রশ্নর মুখোমুখি হতে হলো ঐ বাঁহাতি ওপেনারকে। বলা হলো আপনি তো ওয়েল সেট ছিলেন। আপনি একদিক আগলে রাখার কাজ করলেওতো দল লাভবান হতো। তা কি করা যেত না? ইমরুলও মানছেন তা।
তবে কেন লম্বা ইনিংস সাজাতে পারেননি, তার কারণও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। ইমরুলের কথা, ‘ টিকে থাকাতো অবশ্যই দরকার ছিল। আমি চেষ্টাও করছিলাম। সাকিব আউট হওয়ার পরে মোসাদ্দেকের সঙ্গে একটা জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলাম। মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পরে একটু নার্ভাস হয়ে যাই। যখনই ঠিক করছিলাম যে একটু স্ট্রোক খেলব, তখনই কেউ না কেউ আউট হয়ে যাচ্ছিল । এজন্য চিন্তা-ভাবনা বদলাতে হচ্ছিল।’
ইমরুলের দাবি, নিউজিল্যান্ডে ভাল খেলা বেশ কঠিন। কারণ এখানকার উইকেটের বাউন্স বেশি। আমাদের দেশের ও উপমহাদেশের উইকেটগুলোর তুলনায় অনেক বেশি লাফিয়ে আসে। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া এমন যে বাতাসও অনেক জোরে বয়। যে কারণে সুইংও বেশি। এসব কন্ডিশনে কোনো ব্যাটসম্যান কখনও বলতে পারবে না যে আমি সেট। কারণ এখানে বাতাস আছে, বাউন্স এবং সুইং আছে। একটা ব্যাটসম্যান ৭০-৮০ রান করার পরও যে কোনো সময় আউট হতে পারে। যেটা উপমহাদেশে হয় না। এখানে প্রত্যেকটি বলে মনোযোগী হতে হয় এবং বল বুঝে খেলতে হয়।’
এআরবি/এমআর/এমএস