ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত মোস্তাফিজ


প্রকাশিত: ০১:৩৭ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

ইনজুরি থেকে সেরে উঠছেন মোস্তাফিজ। ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট। এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। এমনকি মোস্তাফিজ নিজেও বলেছিলেন তিনি পুরোপুরি ফিট এবং আগের চেয়েও অনেক বেশি ভালো বোধ করছেন। শুধু তাই নয়, ম্যাচ খেলার জন্যও তিনি ফিট।

যদিও সিডনি সিক্সার্স আর সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটিতেও খেলেননি তিনি। এ কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, পুরোপুরি ফিট আছেন তো মোস্তাফিজ। খেলতে পারবেন তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজ?

অবশেষে মিলেছে সেই প্রশ্নের উত্তর। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, এখনও পুরোপুরি ফিট নন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। সিডনির ট্রেনিং ক্যাম্পে মোস্তাফিজ ৫০-৬০ ভাগ ফিটনেস নিয়ে বোলিং করেছেন। শতভাগ ফিটনেস না আসা পর্যন্ত মোস্তাফিজকে মাঠে নামিয়ে দেয়ার ঝুঁকিও নেবে না টিম ম্যানেজমেন্ট। সে হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ পুরোপুরিই মিস করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে মোস্তাফিজের।

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন এটা নিশ্চিত করেছেন যে, ‘২৬ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ওয়ানডে খেলতে পারবেন না মোস্তাফিজ।’ ওয়ানডে সিরিজের বাকি অংশে? প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য, ‘আমি সন্দিহান, ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারবেন কি না।’

আর মাত্র এক সপ্তাহ পর শুরু হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশের সাংবাদিক বহরের একটা বড় অংশের মতো এখনও নিউজিল্যান্ড যাওয়ার ভিসা হয়নি প্রধান নির্বাচকের। রোববার রাতে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভিসা জটিলতায় এখনও যেতে পারেননি। তাই টেলিফোনেই যা খোঁজখবর নিচ্ছি। আমরা এখনও নির্ভর করে আছি ডাক্তারের রিপোর্টের ওপর। ফিজিও এবং ট্রেনার তাদের রিপোর্ট দেবে, সেটা দেখেই মোস্তাফিজ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

কবে নাগাদ ফিটনেস রিপোর্ট পাওয়া যাবে? এ সম্পর্কে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘যত দূর জানা গেছে, ২৮ কিংবা ২৯ ডিসেম্বরের আগে মোস্তাফিজের ফিটনেস রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা কম।’ তার মানে এমনিই প্রথম ম্যাচ খেলতে পারছেন না আর দ্য ফিজ। বাকিগুলোতে খেলতে পারবেন কি না- তা নির্ভর করছে মোস্তাফিজের ফিটনেস রিপোর্টের ওপর; কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় ট্রেনিং ক্যাম্পে মাত্র ৫০-৬০ ভাগ ফিটনেস ছিল তার। বাকি কয়দিনে শতভাগ ফিটনেস আসবে কি না কাটার মাস্টারের, সে বিষয়ে সন্দিহান প্রধান নির্বাচক।

প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘মোস্তাফিজের ফিটনেস শতভাগে রূপান্তরিত না হলে তাকে খেলানো হবে বড় ধরনের ঝুঁকি। সুতরাং আমরা সে ঝুঁকি নেবো কেন? মোস্তাফিজের শতভাগ ম্যাচ ফিটনেস আগে আসুক। তারপর তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’

প্রধান নির্বাচকের এই কথার পর পরিষ্কার, ২৬, ২৯ এবং ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ ওয়ানডে সিরিজে মোস্তাফিজকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।