গেল বছরে দেশের সফল নারীরা


প্রকাশিত: ০৭:০৪ এএম, ০৮ মার্চ ২০১৫

উপযুক্ত ক্ষেত্র পেলে আমাদের দেশের নারীরা নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় না কখনও। অনেক কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং ক্ষেত্রেও তারা তাদের সফল রূপ প্রকাশ করেছেন। তাদের সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল গেল বছরেও। চলুন, একনজরে দেখে আসি কারা আছেন সেই তালিকায়-

অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ১১ (১) ধারায় ড. ফারজানা ইসলামকে চার বছরের জন্য উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি দেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে ইতিহাস গড়েন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য না হয়েও উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে ৪৩ ভোট পেয়ে প্রথম হন।

তামান্না-ই-লুৎফি এবং নাইমা হক
বাংলাদেশের প্রথম সামরিক নারী বৈমানিক এরা দুজন। প্রশিক্ষণরত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা এবং ফ্লাইং অফিসার তামান্না-ই-লুৎফি বেল-২০৬ হেলিকপ্টারে ৬৫ ঘণ্টা উড্ডয়নের প্রাথমিক ধাপ সম্পন্ন করার পর বিমানবাহিনীর বিভিন্ন হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে দায়িত্ব পালন করবেন।

অধ্যাপক খালেদা একরাম
অধ্যাপক খালেদা একরাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী ভাইস চ্যান্সেলর। যিনি বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বুয়েট) আর্কিটেকচার বিভাগের প্রথম নারী ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন।

ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী


বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) ৩৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৭০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল


দীর্ঘদিন ধরে তিনি অটিজম নিয়ে কাজ করছেন। দেশে-বিদেশে অটিস্টিক শিশুদের বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন হেলথ পাবলিক পুরস্কারে ভূষিত হন।

অর্পা, মাহমুদা ও মাশা
বাংলাদেশের তিন শিক্ষার্থী অর্পা রহমান, মাহমুদা সামানজার চৌধুরী ও মাশা আল-আইরিন এলডিসি অন্তর্ভুক্ত দেশের ২০১৫ পরবর্তী কাঠামোগত উন্নয়ন অগ্রাধিকার শীর্ষক ব্রিটিশ কাউন্সিলের অ্যাকটিভ সিটিজেনের আন্তর্জাতিক শিক্ষা সফর উপলক্ষে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করেন এবং তরুণদের অংশগ্রহণে উইল্টন পার্ক কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

ওয়াসফিয়া নাজনীন
তিনি প্রথম বাংলাদেশি যিনি দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বত অ্যাকোনকাগুয়া, উত্তর আমেরিকার ডেনালি, ইউরোপের মাউন্ট এলব্রাস ও অ্যান্টার্কটিকার ভিনসন মাসিফে আরোহণ করেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফির অ্যাডভেঞ্চার্স অব দ্য ইয়ার ২০১৪-১৫-এর তালিকায় স্থান পেয়েছেন মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়ী ওয়াসফিয়া নাজনীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় নারী পর্বতারোহী।

কাশফিয়া নেহরীন ও নাবিরা রহমান
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাশফিয়া নেহরীন ও নাবিরা রহমান জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল ইয়ুথ ফোরাম ২০১৪ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ... `সেই পৃথিবী আমরা চাই, যে পৃথিবী আমাদের চায়`।

সোনা রানী রায়
আমেরিকার সান্থাফেতে আন্তর্জাতিক লোকশিল্প মেলায় সোনা রানী রায়ের সেলাইকৃত নকশিকাঁথা প্রশংসিত হয়। তিনি কেয়ার বাংলাদেশ প্রকল্প `নিজেরা কটেজ অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ`-এর মাধ্যমে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার পশ্চিম সাহতারা গ্রামের বাসিন্দা।

গোলাপ বানু
ঢাকার বারিধারা নূরেরচালা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের বারিধারা মহিলা সমবায় সমিতির সভানেত্রী গোলাপ বানু সমাজের অসহায় ও গরিব নারীদের উন্নয়নে এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় রোকেয়া পদক ২০১৪ প্রাপ্ত হন।

মমতাজ বেগম
মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনে এবং সমাজের দরিদ্র নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা নারীশিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হন।

এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।