১ বলে ২৮৬ রান!
১০০ বছর আগের কথা। সে কথা মনে রাখবেও বা কে? তবে রেকর্ড বইয়ে সব কিছুই থাকে অক্ষত অবস্থায়। জয় কিংবা পরাজয় আর সম্মান কিংবা লজ্জাই বলুন।
কালের পরিক্রমায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম তা জানতে পারে। এক শতাব্দী পর আজও ১ বলে ২৮৬ রান নেয়ার ঘটনাটি মনে করিয়ে দিচ্ছে ক্রিকেট ভক্তদের। কেউ এটাকে বলবেন-হাস্যকর।
কেউবা বলবেন কার্টুন কিংবা সিনেমায় ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু ১০ দশক আগে এই অবম্ভবকে সম্ভব করেছিল ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা। ঘরের মাঠে ১ বলেই ২৮৬ রান তুলেছিল এক দল।
কিন্তু রেকর্ড বইয়ে তার স্বীকৃতি পায়নি। তবে ১৮৯৪ সালে একটি ইংরেজি জার্নাল ‘পাল মেল’ গেজেটে এই ম্যাচের খবর ছাপা হলে বিষ্মিত হয়েছিল গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। এ-ও কি সম্ভব?
কেউ অবশ্য ভাবতেই পারেন যে, এটা কাল্পনিক কাহিনী। কিন্তু চরম অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটের এই মজার ‘রেকর্ড’ বিশ্বাস করাটা পাঠকদের ওপরই নির্ভর করছে।
সেই জার্নালের তথ্যমতে, সেদিন ভিক্টোরিয়া দলের সঙ্গে অন্য একটি দলের খেলা ছিল। ম্যাচের প্রথম বলেই ভিক্টোরিয়ার এক ব্যাটসম্যান জোরালো এক শট খেলেন।
বল বাউন্ডারি পেরোনোর আগেই মাঠের মধ্যে থাকা একটি গাছের উঁচু ডালে আটকে যায়। এর মধ্যেই ভিক্টোরিয়ার দুই ব্যাটসম্যান রানের জন্য দৌড় শুরু করেন।
অন্যদিকে, বিপক্ষ দল বল হারিয়ে যাওয়ার সঙ্কেত দিতে আম্পায়ারের কাছে আর্জি জানায়। কিন্তু বল তো গাছের ডালে আটকা পড়ে আছে। আর স্পষ্ট দেখাও যাচ্ছে বলটি। তাই আম্পায়ার আর কী করে বল হারিয়ে যাওয়ার সঙ্কেত দেবেন! বিপক্ষ দলের আবেদনে সাড়া না দিয়ে আম্পায়ার গাছের ডাল ছেঁটে বল নিয়ে আসার নির্দেশ দেন গ্রাউন্ডস স্টাফকে।
অনেক চেষ্টা স্বত্বেও বল তো আর গাছের ডাল থেকে পড়ে না। তখন গ্রাউন্ডস স্টাফরা মরিয়া হয়ে বন্দুক থেকে বলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। অবশেষে বল মাটিতে পড়ে।
ততক্ষণে ভিক্টোরিয়ায় ব্যাটসম্যানরা ২৮৬ বার উইকেটের মধ্যে জায়গা বদল করেন। এরপর ভিক্টোরিয়া তাদের ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে। অর্থাৎ এক বলের পরেই ইনিংস ডিক্লেয়ারও করে দেওয়া হয়। ভিক্টোরিয়াই এই ম্যাচে জয়ী হয়েছিল।