এই তো প্রেমেই ৬ বছর!


প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ০৪ মার্চ ২০১৫

ছবিটিতে যখন কাজ শুরু করছিলেন লাক্স সুন্দরী আফসান আরা বিন্দু তখন মিডিয়ার নতুন মুখ।  আর ছবিটি যখন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বিন্দু তখন মিডিয়ার বাইরের মানুষ। সম্প্রতি বিয়ে করে মিডিয়ার সব ধরণের কাজ থেকেই বিদায় নিয়েছেন এই মডেল ও অভিনেত্রী।

এদিকে দীর্ঘ ৬ বছর পর বড় পর্দায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খান ও বিন্দু অভিনীত ছবি ‘এই তো প্রেম’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সোহেল আরমান। জানা গেছে ছবিটি ১৩ মার্চ ৬০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন পরিচালক।

এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই চলচ্চিত্রপাড়ায় ছবিটিকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই ছবি নির্মাণের কল্যাণে আলোচনার মূলে রয়েছেন এর নির্মাতা। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, ‘এই তো প্রেম বানাতেই ছয় বছর, আরেকটু বেশি প্রেম বানালে এই পরিচালকের জীবনটাই না পার হয়ে যেত।’

তবু আশার কথা এই- অবশেষে, মুক্তি পেতে যাচ্ছে ছবিটি। যদিও এর আগে আরো কয়েকবার ছবি মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়নি। তাই এবারেও সংশয় থেকে যাচ্ছে ১৩ মার্চ ‘এই তো প্রেম’ মুক্তি পাবে কি না।

তবে প্রায় ৬ বছরে ছবি নির্মাণ এবং ছবি মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়ে সোহেল আরমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘যখন ছবিটির কাজ শুরু করেছিলাম তখন ডিজিটাল পদ্ধদি ততটা জনপ্রিয় ছিলো না। তাই প্রথমে ৩৫ মি.মি. ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল। পরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এইসব কারণেই ছবি মুক্তি দিতে প্রায় ৬ বছর কেটে গেলো। ১৩ মার্চ ছবিটি মুক্তি পাবে। আশা করছি ছবিটি সবার ভালো লাগবে। সবাই হলে গিয়ে ছবি দেখবেন।’

দেরীর কারণ হিসেবে পরিচালক আরো জানান, হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে ২০০৯ সালে টানা নয় মাস সময় নিয়ে ছবির গান ও আবহ সংগীত তৈরি করেন পরিচালক। এরপর এই ছবির দৃশ্যধারণের জন্য সময় লাগে তিন বছর। এ ছবির কন্টিনিউইটি ঠিক রাখার জন্য শুধু শীতকালেই শুটিং করতে হয় তাদের। এ ছাড়া কিছু কারিগরি কারণেও আমাদের দেশে ছবি মুক্তি দিতে দীর্ঘ সময় লাগে।

মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি একটি রোমান্টিক গল্পের এ ছবিতে প্রথমবার শাকিব ও বিন্দুকে একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখবেন দর্শকরা। ২ মার্চ ছবিটি পেয়েছে সেন্সর ছাড়পত্র। গত মাসের শেষ দিকে এই ছবি সেন্সর বোর্ডে জমা দেন তিনি।

উল্লেখ্য, এই ছবির জন্য নিজের সুর-সঙ্গীতে ‘আমি তোমার মনের ভিতর একবার ঘুরে আসতে চাই’ শিরোনামের একটি গান তৈরি করেন হাবিব। ২০১০ সালের দিকে হাবিব ও ন্যান্সির কণ্ঠে গানটি দেশব্যাপি জনপ্রিয়তা পায়।

এলএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।