ফাইনালে ব্যবধান গড়তে পারে স্যামির তুখোড় নেতৃত্ব


প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে খুলনার ইনিংসের সপ্তম ওভারে বল হাতে নিয়েছিলেন আফিফ হোসেন। তবে প্রথম বলেই তাকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে সীমানা পার করেন নিকোলাস পুরান। এরপরের বল সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল। মাহমুদউল্লাহর সামনে পরের বলটা দিলেন ওয়াইড। তখনই মিডঅন থেকে দৌড়ে আসলেন ড্যারেন স্যামি। বুকে জড়িয়ে, পিঠ চাপড়ে সাহস দিয়ে গেলেন আফিফকে। ফলাফল ওই ওভারেই তুলে নিলেন পুরানের উইকেট।

এটা ম্যাচের খণ্ড চিত্র। তবে পুরো ম্যাচের প্রতিচ্ছবি। রাজশাহী কিংসকে এভাবেই বুকে আগলে রেখেছেন সুদূর ক্যারিবীয় দ্বীপ থেকে আসা এ ক্রিকেটার। যেভাবে সাব্বির, মুমিনুল, মিরাজদের সঙ্গে মিশেছেন তাতে কে বলবে তিনি বাংলাদেশি নন! দলের জুনিয়র খেলোয়াড় আফিফের সঙ্গেও যেভাবে কথা বলেন তাতে মনে হয় অধিনায়ক নন, কথা বলছেন আপন বড় ভাই।

এবারের আসরে সবচেয়ে বড় শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে সাব্বির রহমানকে। মাঠের ভেতর আফগানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদের সঙ্ড়ে বিরোধে জড়ানোর পর মাঠের বাইরে শৃঙ্খলাবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের জন্য বড় জরিমানার গুনতে হয়েছে তাকে। এরপর থেকেই কেন যেন হঠাৎ খোলস বন্দী হয়ে গেলেন সাব্বির। এ কারণে দেশ সেরা এ ব্যাটসম্যানকে আসল চেহারায় ফেরাতে এগিয়ে গেলেন ড্যারেন স্যামি। সাব্বিরকে তিনি বলে দিলে, ‘বাইরের ঘটনাকে মাঠের ভিতরে টেনে না আনতে। মাঠে নেমে মাথা ঠাণ্ডা করলেই আবার পুরনো রূপেই ফিরতে পারবে।’

বুধবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্যামি বলেন, ‘সাব্বির গত কিছুদিন ধরে সবাইকে হতাশ করে আসছিল। যেভাবে আউট হচ্ছিল, এটা ছিল দৃষ্টিকটু। বুধবার যেভাবে ব্যাটিং করেছে। এটা ফাইনালের আগে ওকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। আমি ওকে ব্যাটিংয়ের ধরণ বদলাতে বলিনি। আমি শুধু বলেছি। তোমকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং তুমি চাইলেই তা পারবে।’

ফলাফল সাব্বিরের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই খুলনাকে উড়িয়ে ফাইনালে রাজশাহী। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লক্ষ্যটা ১২৬ রানের হলেও খুলনার বিপক্ষে এ রান মোটেও কম ছিলো না। কারণ এমন স্কোর করেই গ্রুপ পর্বে ধারাবাহিক পেয়ে আসছিল দলটি। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের ম্যাজিক। তবে সাব্বিরের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়েই কোন অঘটন ঘটেনি শেষ পর্যন্ত।

শুধু তাই নয়, মাঠের মধ্যেও দলকে উজ্জীবিত রাখতে দারুণ ভূমিকা রাখেন স্যামি। অভিনব সব উদযাপন দিয়ে পুরো দলকে রাখেন চাঙা। এলিমিনেটর রাউন্ডে যেমন তামিম-গেইলের শক্তিশালী চিটাগাংয়ের বিপক্ষে সেলফি উদযাপন করে দলের মনোবল তুঙ্গে তুলে দেন তিনি।

এবার তাদের লক্ষ্য ফাইনাল। লক্ষ্য ঢাকা জয়। অসম্ভব তেমন কিছুই নয়। সাকিব-রাসেল-ব্রাভোদের ঢাকাকে এর আগে দুইবারই হারিয়েছে তারা। আর সে দুই ম্যাচেই জয়ের নায়ক ছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল। ফাইনালেও তার কাছে এমন আরও একটি অবদান চান স্যামি। সংবাদ সম্মেলনে প্যাটেলের কাঁধে হাত রেখেই এ কথা বললেন স্যামি।

আরটি/আইএইচএস/জেআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।