জয় দিয়ে শেষ করায় খুশি মাশরাফি


প্রকাশিত: ১২:৪৬ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুতে টানা পাঁচটি ম্যাচ হেরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অনেকেই তখন ভেবেছিলেন, জয়শূন্যভাবেই না শেষ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা! তবে শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। শেষ সাত ম্যাচে পাঁচটিতে জয় তুলে নেয় তারা। রোববার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও জয় পায় দলটি। আর তাতেই খুশি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে মাশরাফি বলেন, ‘খুব ভালো। গতবারের মতো তো সব সময় আসা কঠিন। তবে জিনিসটা একই রকম যে জিতে এসেছিলাম এবারও জিতে এসেছি। হয়তো আমরা টুর্নামেন্টে নেই। তবে ভালো লাগছে যে, আমরা অন্তত ভালোভাবে শেষ করেছি।’

টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব পর্যন্ত তলানিতে অবস্থান করেছিলেন মাশরাফিরা। সেখান থেকে ছয় নম্বরে অবস্থানে শেষ করলেন তারা। ছয় নম্বর হলেও শেষ চারের শেষ দলটির সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র দুই। তাই এটাকেই ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছেন মাশরাফি।

‘আমরা টুর্নামেন্টে কোথাও ছিলাম না। আমরা পাঁচ-ছয়টা ম্যাচ পর্যন্ত সবার নিচে ছিলাম। ওখান থেকে খুব উপরে যাইনি তবে পয়েন্টের ব্যবধানটা খুব বেশিও না। ছয়ে শেষ করলেও ১০টা পয়েন্ট নিয়ে শেষ করতে পেরেছি। আমি মনে করি খেলোয়াড়দেরও সবার খুব ভালো লাগছে।’

শেষ চার ম্যাচে টানা চার জয়। আরেকটি জিতলেই সুযোগ থাকতো শেষ চারে খেলার। তবে এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই মাশরাফির। আগে জিতলে হয়তো শেষ চার ম্যাচে টানা জয় পেতেন না এমনটা মনে করছেন মাশরাফি। দিন শেষে ভাগ্যকে মেনে নিয়েছেন দেশ সেরা এ পেসার।

‘এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে যে একটা জিততে পারলে হতে পারতো। আবার দেখা যেতো ওখানে একটা জিতলে এখানে চারটা জিততাম না। তো আফসোস করে কোনো লাভ নেই। যেটা ছিলো সেটাই হয়েছে। যদি বলেন যে কেন পারিনি সেটা অবশ্যই হতাশার। আর যেটা পেরেছি, যতটুকু পেরেছি সেটা অবশ্যই ভালো।’

উল্লেখ্য, এদিন টুর্নামেন্টের শুরুতে চমক দেখানো দল রংপুর রাইডার্সকে ৮ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। তা সত্ত্বেও ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হলো গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের।

আরটি/এনইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।