ভাগ্যকেই বড় করে দেখছেন মাশরাফি


প্রকাশিত: ০৬:২৩ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

টানা দুই ম্যাচে জয়, অথচ এ দুই ম্যাচে কি-না ভয় নিয়ে মাঠে নেমেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। হারার ভয়তো ছিলই, সঙ্গে কাজ করেছে তাদের বিপক্ষে রানের পাহাড় না গড়ে ফেলেন প্রতিপক্ষরা। কারণ কার্যত পাঁচজন বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। একজন বোলার খারাপ করলেই বড় বিপদে পড়তেন। ভাগ্য সহায়তা করেছে বলেই প্রতিপক্ষকে রাখতে পেরেছেন নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই। আর তাই ভাগ্যকেই বড় করে দেখছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভাগ্য লাগে, এটা আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন থেকে আমি মনে করি। সেজন্য যেটা পাই না তা নিয়ে ভাবি না। টুর্নামেন্টের দিকে তাকান, আমাদের ভাগ্য সহায়তা করলে আমরা যদি একটা ম্যাচ বেশি জিততাম তাহলে অন্য অবস্থায় থাকতাম। তাহলে শেষ দুইটা ম্যাচ জিতলে আমাদের সুযোগ থাকতো। ভাগ্যে ছিল না তাই হয়নি।’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক সোহেল তানভীর। অথচ ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এ পেসারকে ছাড়াই মাঠে নামে তারা। শুরু থেকেই ভুক্তে থাকা লাইন শক্তিশালী করতে শেষ দুই ম্যাচে শাহাদাত হোসেন রাজীবকে মাঠে নামায় কুমিল্লা। তবে এমন বোলিং নিয়ে এতো অল্প রানে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখাকেও সৌভাগ্য বলছেন মাশরাফি।

‘এটা সেরা কম্বিনেশন কি-না এটা বলা কঠিন। শেষ দুই ম্যাচে আমি আরো বেশি ভয় নিয়েই মাঠে নেমেছি। কারণ আমাদের পরিষ্কারভাবে বোলার কম ছিল। সৌভাগ্যবশত বোলাররা ভালো করেছে। আমাদের চেয়ে ভালো বোলিং অ্যাটাক নিয়ে অনেকে সংগ্রাম করছে। আজকেও ঢাকার ১৯০ এর মতো হয়েছে। তবে ম্যাচ জিতেছি আমাদের ভালো লাগছে।’

উল্লেখ্য, ১০ ম্যাচে মাত্র তিনটি জয় পেলেও শেষ চার শেষ হয়ে যায়নি কুমিল্লার। শেষ দুই ম্যাচে জয় পেলে এবং রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংস শেষ দুই ম্যাচে হারলে জটিল সমীকরণ শেষে একটা সম্ভবনা থেকেই যায় তাদের। তাই শেষ চারে যেতে হলে সেখানেও ভাগ্যকেও প্রয়োজন মাশরাফিদের।

আরটি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।