স্যামুয়েলস ঝড়ে আবারও জয় কুমিল্লার


প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

বিপিএলের পড়ন্ত বেলা। আর চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ছন্দে ফেরা। স্রোতের বিপরীতে এই প্রত্যাবর্তন তেমন কাজে আসছে না মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের। তবে শেষটা ভালো হওয়াও কম কিসে? সেটাই বোধ হয় বড় পাওয়া হিসেবে দেখছে চ্যাম্পিয়ন দলটি।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার রাজশাহী কিংসকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা। মারলন স্যামুয়েলস ঝড়ে ম্যাচটিতে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলেছে রাজশাহী। জবাবে ৮ বল হাতে রেখেই মাত্র ২ উইকেট খুইয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে মাশরাফির দল।

এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ এগোলো কুমিল্লা। ১০ ম্যাচ শেষে চ্যাম্পিয়নদের সংগ্রহ দাঁড়ালো ৬ পয়েন্ট। পেছনে ফেলেছে বরিশাল বুলসকে। যদিও দুই দলের পয়েন্ট সংখ্যা সমান। তবে রানরেটে এগিয়ে আছে কুমিল্লা। লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। সাকিব আল হাসানের দলের সঞ্চয় ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট।

এদিকে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ইমরুল কায়েসের উইকেটটি হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খায় কুমিল্লা। মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন কায়েস। বিদায়ের আগে ১৮ বল মোকাবেলা করে দুটি চারের সাহায্যে করেন ৯ রান।

চ্যাম্পিয়নরা সেই ধকল সামলে ওঠে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। মারলন স্যামুয়েলস ও আহমেদ শেহজাদের ৯০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। এই জুটি ভাঙেন ফরহাদ রেজা। তিনি ফেরান ৪৫ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৪৬ রান করা আহমেদ শেহজাদকে।

আর কুমিল্লাকে জিতেয়ে মাঠ ছাড়েন মারলন স্যামুয়েলস। ৪১ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় হার না মানা ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবিয়ান। খালিদ লতিফ অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। রাজশাহীর হয়ে একটি উইকেট নেন মিরাজ ও ফরহাদ।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা অবশ্য ভালোই ছিল রাজশাহীর। ওপেনিং জুুটিতে দলের স্কোরশিটে যোগ হয় ৩৮ রান। ছন্দে থাকা মুমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন রশিদ খান বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে। আরেক ওপেনার নুরুল হাসান সোহান ১৭ রান করে শিকার হন মাশরাফির।

রাজশাহীর ইনিংসের মাঝপথে ছিল ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল। এদিন দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সাব্বির রহমান রুম্মন (৮), সামিত প্যাটেল (৪) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৭), ড্যারেন স্যামি (০)। ফরহাদ রেজার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।

ছয়ে ব্যাট করতে নামা জেমস ফ্রাঙ্কলিন একপ্রান্ত আগলে গেলে লড়াই অব্যাহত রাখেন। ৩১ বলে ২টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। রাজশাহীর আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আবুল হোসেন রাজু (৪*)।

কুমিল্লার সেরা বোলার মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন। ৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখলে নেন তিনি। দুটি উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। একটি করে উইকেট পকেটে পুরেছেন রশিদ খান ও নাবিল নামাদ।

এনইউ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।