ক্ষমা চাইলেন মাশরাফিকে লাঞ্ছিতকারীরা


প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন।

জানাতে চাইলে এ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, মাশরাফির সঙ্গে দেখা হয়েছে। তার কাছে জানতে চেয়েছি, দলের সদস্যরা ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে গিয়েছে কি না? কারণ শ্রীলঙ্কা দল আগের দিন অনুশীলনে গিয়েছে এবং তারা ম্যাচে ভালো ফল করেছে। এ সময় মাশরাফি জানান, ম্যাচের আগে দলের সদস্যদের অনুশীলনের ব্যাপারটা ‘অপশনাল`। এটুকুই কথা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে দলের অধিনায়ককে এমন প্রশ্ন করার মতো দায়িত্বশীল কোনও কর্মকর্তা তিনি কি না, জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, না। আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একজন একনিষ্ঠ ‘ফ্যান’। আমার এই জিজ্ঞাসায় যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দলের কাছে, দেশের কাছে আপনার মাধ্যমে ক্ষমা চাই।

এ সময় নজরুল আরও বলেন, মাশরাফি এর আগে বেশ কয়েকবার চিকিৎসার জন্য যখন মেলবোর্নে এসেছেন, তখন আমি নিজ উদ্যোগে তার সঙ্গে দেখা করেছি। তাহলে কেন কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এদিন মাশরাফিকে আক্রমণ করতে গেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল বলেন, দেখেন, আমার বয়স প্রায় পঞ্চাশ। আর মাশরাফিও প্রায় আমার ছেলের বয়সী। তাকে আক্রমণ করতে যাব- এমন ‘পাগল’ আমি নই। আমি পুরো সুস্থ ও স্বাভাবিক একজন মানুষ।

জানা গেছে, মাশরাফি দলের আরও কয়েকজন ক্রিকেটারকে সঙ্গে নিয়ে মেলবোর্নের হান্টিংডেল মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে নজরুল ইসলাম কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিয়ে মাশরাফিকে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় মাশরাফি বারবারই তাকে ‘সংযতভাবে` কথা বলার অনুরোধ করেন।

গত বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ ৯২ রানে হেরে যায়। জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ হারার কারণেই মূলত ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলামরা এ লাঞ্ছিতের ঘটনা ঘটান। এ সময়ে উপস্থিত কয়েকজন বাংলাদেশির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সিডনি এবং ব্রিসবেনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র- বাংলা ট্রিবিউন

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।