পদ্মায় লঞ্চডুবি : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে চলাচলকারী মালবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমএল মোস্তফাকে ১৭ ঘণ্টা পর সোমবার ভোরে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
এর আগে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝ পদ্মায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল মোস্তফা। এ ঘটনায় মাস্টারসহ কার্গো জাহাজ নার্গিসকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল মোস্তফা দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর এমভি নার্গিস-১ নামে একটি কার্গো জাহাজ লঞ্চটির মাঝ বরাবর ধাক্কা দেয়। এতে ডুবে যায় যাত্রীবাহী লঞ্চটি। তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করে স্থানীয়রা।
এসময় ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী তীরে উঠে আসেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে সেখানে এক শিশুর মৃত্যু হয়। মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা বলেন, ঘটনার পরপর দ্রুততার সাথে আমরা উদ্ধার ব্যবস্থা হাতে নিই।
এদিকে, বিআইডব্লিউটিএ-র টাগবোটের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে তীরে টেনে আনার চেষ্টা চলছে। বিআইডব্লিউটিএ`র চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা খন্দকার জানান, যাত্রীবাহী জাহাজ ও কার্গো জাহাজের মধ্যে প্রতিযোগিতার ফলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস বলেন, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম মাওয়া থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন শোক প্রকাশ করেছেন। লঞ্চডুবির এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিএ/আরআইপি