মুশফিকের কাছে হেরে গেলেন মাশরাফি


প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৬

টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে গেলেন চ্যাম্পিয়ন মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম ম্যাচে চিটাগাং ভাইকিংসের কাছে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এসে কুমিল্লা হেরে গেলো মুশফিকুর রহীমের বরিশাল বুলসের কাছে। মাশরাফির দলকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে বরিশাল। চলতি বিপিএলে এটাই বরিশাল বুলসের প্রথম জয়।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ছুড়ে দেয়া ১৩০ রানের চ্যালেঞ্জ পাড়ি দিতে গিয়ে ৯ বল হাতে রেখে দিয়েছে বরিশাল বুলস। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম এবং শ্রীলংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বরিশাল।

জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিলশান মুনাভিরা এবং শামসুর রহমান শুভ ১৯ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ১৫ রান করে আউট হয়ে যান দিলশান মুনাভিরা। এরপর শামসুর রহমান শুভ আর ডেভিড মালান মিলে ২৯ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১৬ রানে আউট হন শুভ।

শুভ আউট হওয়ার পর ডেভিড মালানকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন মুশফিকুর রহীম। দলীয় ৬৯ রানে আউট হন মালান। ২৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি।

এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় জুটি গড়ে তোলেন মুশফিক। ৪৯ রানের জুটি গড়ার পর, দলীয় ১১৮ রানে আউট হন মুশফিক। তার আগে তিনি খেলেন ২৩ বলে ৩৩ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস। এটাই মূলতঃ বরিশালকে জয়ের ভিত গড়ে দেয়।

মুশফিক আউট হওয়ার পর শাহরিয়ার নাফীসকে নিয়ে বাকি কাজ অনায়াসে শেষ করে দেন থিসারা পেরেরা। ২০ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন পেরেরা। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কাও ছিল। নাফীস অপরাজিত থাকেন ১ রানে।

কুমিল্লার হয়ে ইমাদ ওয়াসিম, সোহেল তানভির, নাবিল সামাদ এবং মোহাম্মদ শরীফ নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে দুপুরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি। ব্যাট করতে নেমে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৯ রান করতে সক্ষম হয় কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলস। ৩০ রান করেন সোহেল তানভির।
 
আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।