রেকর্ডের কথা জানতেনই না সানি


প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৬

বৃহস্পতিবার ঘটনাবহুল একদিন কেটেছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় দিনে সবচেয়ে কম রানের লজ্জা পায় খুলনা টাইটান্স। এছাড়াও সবচেয়ে কম বল খেলা ছাড়াও সবচেয়ে দ্রত ম্যাচ শেষ হবার রেকর্ড এটি। এদিন শূন্য রানে তিন উইকেট নিয়ে বিরল এক রেকর্ড গড়েন আরাফাত সানিও। আর এ রেকর্ডের কথা জানতেনই এ বাঁহাতি স্পিনার।

এদিন নিরাপত্তাবাহিনীর অসদাচরণের কারণে সংবাদ সম্মেলন হয় প্রেসবক্সে। সেখানে নিজের রেকর্ড সম্পর্কে সানি বলেন, ‘আমি জানতাম না রেকর্ডের ব্যাপারে। আমি ভেবেছিলাম এটা হয়তো আমার সেরা বোলিং ফিগার। ম্যাচ যখন শুরু হয়, তখনো এরকম রেকর্ড করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। সবসময় যেই পরিকল্পনা থাকে, উইকেট টু উইকেট বল করার, আজও সেটাই ছিল। আল্লাহর রহমত যে আমি এরকম একটা রেকর্ড করতে পেরেছি।’

এ ম্যাচে সানি ও আফ্রিদির ঘূর্ণিতে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা। আরিফুল হককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে উইকেট শিকারের শুরু করেন সানি। এরপর দুই পাকিস্তানি জুনায়েদ খান ও মোহাম্মদ আসগারকে তুলে নেন তিনি। ১৬টি বল করে কোন রান না দিয়ে ৩ উইকেট। শেষ পর্যন্ত সানির বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২.৪-২-০-৩। তার বলে ব্যাট চালাতেই যেন ভুলে গিয়েছিলেন খুলনার ব্যাটসম্যানরা।

‘আপনার কি একটা ইচ্ছা ছিল যে আজ কোনো রান দেবেন না? শূন্য রান দিয়েই থাকবেন, এরকম কোনো পরিকল্পনা ছিল?’- এমন প্রশ্ন করা হয় সানিকে। জবাবে সানি বলেন, ‘না, সেরকমও কোনো পরিকল্পনা ছিল না। প্রথম ওভারটা আমি বুঝিনি যে মেইডেন হয়েছে। প্রথম ওভারে যে রানআউট হলো, আমি ভেবেছিলাম ওই বলে রান হয়ে গেছে। আর শেষ বলে যেটা দুই রান হয়, সেটাও লেগবাই হয়েছিল। তাই আমি ঠিক বুঝতে পারিনি যে ওইটা মেইডেন ওভার ছিল। যাই হোক, পুরো টিমেরই এফোর্ট ছিল। সবাই চেষ্টা করেছিলাম নিজের সেরাটা দেয়ার।’

এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিং আসেন সানি। প্রথম ওভারে সাফল্য না পাওয়ায় আবার বল হাতে নেন নবম ওভারে। ততক্ষণে খুলনা হারিয়েছে ছয়টি উইকেট। পরের দুই ওভারে সানি তুলে নেন আরো তিন উইকেট। সে সময়ের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে সানি বলেন, ‘আমি সব সময়ই যেই ব্যাপারটা চেষ্টা করি, সেটা হচ্ছে রান না দেয়া। উইকেট হয়তো আমার দিক থেকে না পড়লেও অন্যদিক থেকে ঠিকই পড়বে। কিন্তু আমার ফোকাস থাকে যে যত কম রান দেয়া যায়।’

উল্লেখ্য, ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝ থেকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে দেশে ফিরে আসেন তিনি। এরপর অ্যাকশন বদলে গত অক্টোবরে নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অনুমুতি পান তিনি। যদিও এরপর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ হয়নি তার।

আরটি/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।