মাশরাফির কাছে কৃতজ্ঞ তামিম


প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের ওপেনার হিসেবে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এই পজিশনে তাকে ভিন্ন কল্পনা করা যায় না! সেই তামিমই কি না একসময় জাতীয় দলে ‘বোঝা’ হতে চলেছিলেন।

বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে ফর্মটা ভালো যাচ্ছিল না তামিমের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। এত বেশি কথা হয়েছিল যে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়তে পারতেন তিনি। কিন্তু ওই সময়টা মাশরাফি বিন মর্তুজা তাকে আগলে রেখেছিলেন। তামিম জায়গা পেয়েছিলেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে!

নিজেকে ফের প্রমাণ করে এখন জাতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। এর জন্য মাশরাফিকে কৃতিত্ব দিলেন তামিম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ বছর পার করা মাশরাফিকে নিয়ে চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার বলেন, ‘২০১৫ বিশ্বকাপের সময় আমি হয়তো স্কোয়াড থেকে বাদ পড়তাম। কারণ তখন চারদিকে আমাকে নিয়ে বেশ কথা হয়েছিল। তবে মাশরাফি ভাই আমাকে যেভাবে আগলে রাখলেন, তা ছিল অবিশ্বাস্য। আমাকে অনেক সময় দিতেন।  ক্রিকেটের চেয়ে অন্যান্য বিষয় কথা বলতেন। আমাকে কৌতুক শোনাতেন। তখন আমি বুঝতে পারছিলাম যে আমার সমস্যা দূর করতেই এসব তিনি করছিলেন। সত্যি কথা বলতে, এরপর ওসব (সমালোচন) ভুলে গিয়েছিলাম।’

মাশরাফির কাছ ইতিবাচক দিকটা খুঁজে পেয়েছেন তামিম। বলেন, ‘টিম মিটিংয়ের সময় মাশরাফি ভাই এভাবে বলে শুরু করতেন ‘‘তামিমই মূল খেলোয়াড়’’। যখন এভাবে আমার সম্পর্কে তাকে বলতে শুনতাম, তখন নিজেকে অনেক বেশি ইতিবাচক মনে হতো। টুনামেন্ট চলাকালীন তিনি এভাবে করেছেন। আমি নিশ্চিত যে ভালো একজন অধিনায়কের অধীনে খেলেছি। কিন্তু আমি খুবই সন্দিহান যে মাশরাফি ভাইয়ের মতো অন্য কেউ আমাকে এভাবে যত্ন নেবে কিনা।’

এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।