নারায়ণগঞ্জে স্পিনিং মিলে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি স্পিনিং মিলে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে ১২ জন দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার যাত্রামুড়া এলাকার নোয়াব স্পিনিং মিলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধরা হলেন রোকনুজ্জামান (৩৭), হাফিজুল ইসলাম (১৮), হাসিব হোসেন (১৮), নাসিমা আকতার (১৬), হাওয়া বেগম (১৮), ওয়াদুদ মিয়া (২৫), ইসমাইল হোসেন (৪২), আসমা বেগম (৩০) ও আফরোজা বানু (৩০), কোহিনূর বেগম (৩৫), রিমু খাতুন (১৪) ও নয়ন তারা (১৪)।
তাদের উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
দগ্ধদের মধ্যে আসমা বেগমের ৩৫ শতাংশ, আফরোজা বেগমের ৬০ শতাংশ, কোহিনূর বেগমের ৭০ শতাংশ, নয়ন তারার ২৪ শতাংশ শরীর পুড়ে গেছে।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল জানিয়েছেন, বয়লার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে অধিকাংশের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। তাই তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এছাড়া আগুন নিভাতে গিয়ে ও তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হন আরও কয়েকজন। আগুনে মিলের বিপুল পরিমাণ সুতা, তুলা ও মেশিনারিজ পুড়ে গেছে। এতে মিলের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মালিকপক্ষের দাবি।
নোয়াব স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালক লায়ন বিএম আতিকুর রহমান জানান, মধ্যরাতে মিলে গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। দ্রুত আগুন পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এর চারটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক (ডিএডি) মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, গ্যাসের মিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বিএ/আরআইপি