প্রথম হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন সানডে


প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৬

জোড়া গোল আছে অনেকগুলো। জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিকের কাছ থেকে ফিরেছেন দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজন ফুটবলার। কিন্তু তৃতীয় গোলের দেখা মিলছিল না কারোরই। ফুটবলের সৌন্দর্য্য গোল। আর স্ট্রাইকারের গোলের সৌন্দর্য্যরে পূর্ণতা আসে হ্যাটট্রিকে। কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসরে ‘হ্যাটট্রিক’ শব্দটি যেন ছিল নির্বাসনে। অবশেষে হ্যাটট্রিক দেখলো চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। তাও ৭৪ ম্যাচ পর। দীর্ঘ প্রতিক্ষীত এ হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন আবাহনীর নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা। আজ (সোমবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সকার ক্লাবের বিরুদ্ধে আবাহনীর পাওয়া ৫-১ ব্যবধানের জয়ের তিনটিই গোল করেছেন সানডে। বাকি দুই গোল জুয়েল রানা ও সাদ উদ্দিনের।

এর আগে তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক পেতে পেতেও পাননি সানডে। তিনবারই ফিরেছেন জোড়া গোল করে। লিগে ১৩ নম্বর ম্যাচে তাকে বিমুখ করেনি পা দুটি। আবাহনীর গোলের খাতা খুলেছিলেন জুয়েল রানা। ১৮ মিনিটে আক্রমণ ঠেকাতে হেড করেছিলেন সকার ক্লাবের গিনির ডিফেন্ডার কামারা। হেডটি যুতসই হয়নি, বল চলে যায় জুয়েল রানার পায়ে। কোনো ভুল করেননি এ তরুণ মিডফিল্ডার।

এগিয়ে যাওয়া আবাহনীর বাকি সময় হয়ে উঠে সানডেময়। ২৬ মিনিটে সানডে প্রথম গোল করে দৌঁড়ে জড়িয়ে ধরেণ ইংলিশ ফুটবলার লি টাককে। ধরবেনই না কেন? ওই গোলটির পেছনে যে আছে লি টাকের বুদ্ধিমত্তা জড়িয়ে। ফাহাদের সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে লি টাক যখন এগিয়ে গেলেন তখন সকার ডিফেন্ডারদের অফসাইড ট্র্যাপে পা দিয়ে রেখেছেন সানডে। লি টাক বল ছাড়লেই অপমৃত্যু হতো একটি দৃষ্টিনন্দন আক্রমণের। তা হতে দেননি এ ইংলিশ ফুটবলার। বলটি ফাঁকা জায়গায় ঠেলে দিয়ে নিজেই দৌঁড়ে গিয়ে আবার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাস বাড়ান গোলমুখে এগিয়ে যাওয়া সানডেকে। বল জালে পাঠিয়ে সানডে শুধু গোলটির বৈধ মালিক হয়েছেন মাত্র।

৫৩ মিনিটে সানডে ব্যবধান করেন ৩-০। তবে এ গোলের আগে পেনাল্টি মিস করেছিলেন তিনি। সানডের নেয়া পেনাল্টি রুখে দিয়েছিলেন সকার ক্লাবের গোলরক্ষক সুজন চৌধুরী। তবে বল পেয়ে যান জুয়েল রানা। তিনি আড়াআড়ি পাস দিলে আলতো টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সানডে। তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করা গোলটি এসেছে সকার ডিফেন্ডারদের ভুলে। দূর্বলভাবে আক্রমণ প্রতিহত করেছিল সকার ডিফেন্ডার। সানডে ফাঁকায় বল পেলে যা হয়-সহজ গোলেই হ্যাটট্রিক পূরণ। মাঝে ব্যবধান ১-৩ করেছিলেন সকার ক্লাবের নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার উচে ফেলিক্স। তার পরও বড়  হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ফেনীর দলটিকে। ৮৭ মিনিটে আবাহনীর জয়ের ব্যবধান ৫-১ করেছেন নতুন ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন।  

এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান আরও মজবুত হয়েছে আবাহনীর। ১৩ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে শীর্ষে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। রাতের ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনী জিতলেও পিছিয়ে থাকবে তাদের চেয়ে। অন্য দিকে সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ১১ নম্বরে সকার ক্লাব।

আরআই/এমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।