ফিটনেস পাওয়া মোস্তাফিজকেই চান ওয়ালশ


প্রকাশিত: ০৭:৩০ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৬

কাঁধের অপারেশনের ধকল সামলে এবং টানা রিহ্যাব করে ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাওয়ার পথে মোস্তাফিজুর রহমান। আগেই জানা, কাটার মাস্টারকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজল্যান্ড সফরেই চাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকেরা।  

এ কারণে আগামী ডিসেম্বর ও ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতি সফর ও নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য ২০ জনের দলে তার নাম রয়েছে। তবে এ মুহূর্তের খবর, পেস সেনসেশন মোস্তাফিজ পুরোপুুরি সুস্থ হলে এবং শতভাগ ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেলেই শুধু তাকে খেলানো হবে।

এটা হাওয়া থেকে পাওয়া খবর নয়। ক্রিকেটপাড়া কিংবা শেরেবাংলার বাতাসে ভাসা গুঞ্জনও নয়। যিনি মোস্তাফিজসহ বাংলাদেশের পেসারদের ঘষেমেজে উজ্জ্বল ও আরও শাণিত করার দায়িত্ব নিয়ে এসেছেন, সেই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গ্রেট কোর্টনি ওয়ালশের নিজের কথা।  

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ কোনোরকম তাড়াহুড়ায় যেতে নারাজ। তার অনুভব, রিহ্যাব ভালোই চলছে। অপারেশনের পর যেভাবে আগানোর কথা, ঠিক তেমন অগ্রগতিই হয়েছে এবং হচ্ছে মোস্তাফিজের।

তবে তার সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে কোনোরকম তাড়াহুড়া করার বিপক্ষে ওয়ালশ। ফিজিক্যাল ট্র্রেনিং এবং রিহ্যাবের নির্দিষ্ট এক্সারসাইজগুলো ছাড়াও অল্প ক’দিন ধরে একটু-আধটু বোলিং করছেন কাটার মাস্টার। আজ রোববারই ফাস্ট বোলিং কোচ ওয়ালশের সামনে প্রথম কয়েক ওভার হাত ঘুরিয়েছেন এ বাঁ-হাতি পেসার।  

তা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে ওয়ালশ বলেন, ‘মোস্তাফিজ আজ ভালোই বোলিং করেছে। অপারেশনের পর রিহ্যাবে এখন পর্যন্ত তার যা উন্নতি হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। এখন অবধি সব ঠিকই আছে।’

জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর থেকে ক্রিকেট বল হাতে নিয়েছেন কাটার মাস্টার। প্রথম দিন ১৮টি বল করেছেন। তার পর দিন এক ওভার বাড়িয়ে ২৪টি ডেলিভারি ছুঁড়েছেন।

ওয়ালশের কথায় পরিষ্কার, তিনি এখনই মোস্তাফিজ সম্পর্কে কোনোরকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার পক্ষে নন। অন্তত আরও সপ্তাহখানেক দেখে ও বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বললেন।

তার কথা, ‘আমরা সোমবার আবারো মোস্তাফিজকে দেখবো। যদিও এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, তা দেখে ভালোই মনে হচ্ছে। এখন সে শুধু বোলিং শুরু করেছে। যখন সে ভেতর থেকে ভালো মতো বল করার শক্তি ও সামর্থ্য সঞ্চয় করবে, শুধু তখনই প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে।’

ওয়ালশ ভাবছেন, সবকিছু ঠিকঠাক মতো চললে ১১ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যেই বোঝা যাবে মোস্তাফিজের অবস্থা। তাই মুখে এমন কথা, সবকিছু ঠিক থাকলে ১১-১৩ নভেম্বরের মধ্যে তার সত্যিকার অবস্থা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা মিলবে।

কোনোরকম তাড়াহুড়ায় না গিয়ে মোস্তাফিজের শরীরের অবস্থা দেখে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘আমরা চাই না কোনোরকম তাড়াহুড়া করে তাকে আবার ক্রিকেটে ফেরাতে। সে আগে পুরোপুুরি ফিট হোক। তবেই না শুধু মাঠে ফেরার প্রশ্ন।’

বাংলাদেশ পেস বোলিং কোচ আরো জানান, আমি ১১ ও ১৩ নভেম্বর আবার তাকে পরখ করে দেখবো। তখন তার নিজের সম্পর্কে সেও একটা ধারণা পাবে। তবে এখন পর্যন্ত সব ভালোই আছে।’

কাটার মাস্টারকে বাংলাদেশের অন্যতম সম্পদ ও দলের বড় অস্ত্র অভিহিত করে ওয়ালশ বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো তাকে পুরোপুুরি সুস্থ করে তোলা। সে দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। বোলিংয়ের অন্যতম অস্ত্র। আমি যতটা দেখেছি, তাকে বিশেষ বোলিং অপশনই মনে হয়েছে। কাজেই এটা স্বাভাবিক যে তার মতো বোলারের সার্ভিস দলের জন্য খুব প্রয়োজন। আমরা কায়মনোবাক্যে চাই মোস্তাফিজের সার্ভিস; কিন্তু তার মানে এই নয় যে, শতভাগ ম্যাচ ফিটনেস ফিরে না এলেও তাকে জোর করে খেলানো হবে।’

মাশরাফি ও মোস্তাফিজদের বোলিং কোচের শেষ কথা, এখন সবচেয়ে বেশি দরকার রিহ্যাবটা যাতে ঠিকমতো ও ভালো হয়। মোস্তাফিজকে শতভাগ ফিট করে তোলার কাজে ফিজিও সার্বক্ষণিকভাবে আছে। তার স্বাভাবিক ছন্দে বোলিং করতে শতভাগ ফিটনেস ফিরে পাওয়াই শেষ কথা।

এআরবি/আইএইচএস/এসঅাইএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।