রনির জোড়া গোলে রাসেলের জয়


প্রকাশিত: ০২:২৫ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০১৬

দ্বিতীয় গোলটি করে সাখাওয়াত রনি যেন আকাশ ছুঁ’তে চাইলেন। জাতীয় দলের এ স্টাইকারের আগের ১২ ম্যাচে গোল ছিল মাত্র ২টি। এক ম্যাচেই তা করে ফেললেন দ্বিগুণ। গোলের পর বাধভাঙ্গা আনন্দ তো করবেনই তিনি। খাদের কিনারায় চলে যাওয়া শেখ রাসেলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছিল উত্তর বারিধারার কাছে ৩ গোল খেয়ে।

আজ (শনিবার) রহমতগঞ্জকে ২-০ গোলে হারিয়ে আবার পায়ের নিচে মাটি দেখতে শুরু করেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর শেখ রাসেল দ্বিতীয়ার্ধে বাড়িয়ে দেয় আক্রমনের ধার। ৫২ থেকে ৫৫, চার মিনিটের এক ঝড়ে উড়ে যায় রহমতগঞ্জ। প্রথম পর্বে যে রহমতগঞ্জ ছিল চমকের নাম, সেই রহমতগঞ্জ এখন যেন মাঠে নামেই হারের জন্য। আবাহনী ও মোহামেডানের কাছে হারের পর আরেকবার মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়লো কামালবাবুর দল। টানা তিন হারের পর রহমতগঞ্জকে নিয়ে শুরু হলো ফিসফিসানিও।

সাখাওয়াত হোসেন রনির ৪ মিনিটে দুই গোল। নিজের নামের আগে বসে যাওয়া ‘ব্যর্থ স্ট্রাইকার’ শব্দ দুটি মুছে ফেলতে পারবেন হয়তো। ৫২ মিনিটে রুম্মনের পাস থেকে গোল করে রাসেলকে এগিয়ে দেন রনি। ৫৫ মিনিটে রনি দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় রহমতগঞ্জের গোলরক্ষকের ভুলে। এলিটা বেনজামিনের ব্যাকহেড বাইরে চলে যাচ্ছিল। কর্নার ঠেকাতে তিনি বলটি ভেতরে রাখতে চেয়েছিলেন; কিন্তু বল চলে যায় রনির সামনে। ফাঁকা পোস্টে বল পাঠিয়ে রাসেলের জয় নিশ্চিত করেন রনি।  

টানা হারের কারণ সম্পর্কে রহমতগঞ্জের কোচ কামাল বাবু বলেছেন, ‘ভালো খেলতে পারিনি। নিয়মিত একাদশটাও নামাতে পারিনি। প্রধান  গোলরক্ষক মাসুমের জ্বর। দ্বিতীয় গোলরক্ষক আল-আমিন আনফিট। জুনাপিও ফিট না হলেও খেলাতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের জয়ের তাড়না নেই; তারা মনে করছে, অনেক কিছু করে ফেলেছে। এখন আর তারা জয়ের জন্য খেলছে না।`
 
জয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে রাসেলের কোচ সফিকুল ইসলাম মানিকের। ম্যাচের পর বলেছেন, ‘জিততে হবে- এমন তাড়না তৈরী করা হয়েছে। ওরা প্রথম থেকে সেটা প্রয়োগ করে খেলেছে।’

আরআই/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।