বিপিএলের দল পরিচিতি


প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৬

আগামীকাল থেকেই শুরু হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আয়োজন বিপিএলের চতুর্থ আসর। এই আসরটি ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজসাজ রব। চারদিকে তুমুল আগ্রহ বিপিএলকে ঘিরে। শেষ হবে ৯ ডিসেম্বর। এক মাসেরও বেশি সময় বাংলাদেশের মানুষ বুঁধ হয়ে থাকবে বিপিএলের উত্তাপে।

ধুম-ধাড়াক্কা চা-ছক্কার আয়োজন ঘিরে দর্শকদের আগ্রহের মোটেও কমতি নেই। সবারই আলোচনার বিষয়বস্তু, কেমন হলো বিপিএলের দলগুলো। এবারের আসরের ৭টি দলের বিশ্লেষণ সাজানো হয়েছে জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গত আসরে গড়পড়তার দল নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হয় মূলতঃ বাংলাদেশ জাতীয় দলের রঙ্গিন জার্সির অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দুর্দান্ত নেতৃত্বে। অধিনাকত্বে। এবারও সেই মাশরাফির উপর রেখেই দল গড়েছে কুমিল্লা। এছাড়াও পুরনো খেলোয়াড় হিসেবে তারা ধরে রেখেছে লিটন কুমার দাস ও ইমরুল কায়েসকে।

সাম্প্রতিক সময়ে দারুণ ফর্মে আছেন ইমরুল, তাই তার দলে অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে টপ অর্ডারে বড় পাওয়া। তবে গত বছর থেকেই অফ ফর্মে আছেন লিটন। যদিও প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিকে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তবুও এবার তার ওপরই আস্থা রাখছে দলটি।  এছাড়াও দলে আছেন আল-আমিন জুনিয়র, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাহিদুল ইসলাম, সৈকত আলী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মত তরুণরা।

সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে ৬৭২ রান করে নজর কেড়েছিলেন আল-আমিন জুনিয়র। এছাড়া চলতি বছরের শুরুতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দারুণ খেলেছিলেন শান্ত ও সাইফউদ্দিন। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ শরীফ ও নাবিল সামাদও রয়েছেন এ তাঁবুতে।

বিদেশি ক্রিকেটারদের সধ্যে গত আসরের সেরা ক্রিকেটার আসহার জাইদিকে ধরে রেখেছে কুমিল্লা। এছাড়াও আছেন দুই লঙ্কান নুয়ান কুলাসেকারা ও থিসেরা পেরেরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পারফরমার মারলন স্যামুয়েলস, সুনীল নারিনের সঙ্গে আছেন আরেক ক্যারিবিয়ান জ্যাসন হোল্ডারও।

আছেন পাকিস্তানের সোহেল তানভির, খালিদ লতিফ, শাহজিব হাসান ও ইমাদ ওয়াসিমের মত পারফরমার। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে নজর কাড়া আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খানকেও দলে নিয়েছেন তারা।

ঢাকা ডাইনামাইটস
স্থানীয় ক্রিকেটার নিয়ে এবার সবচেয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে ঢাকা ডাইনামাইটস। পাশাপাশি বেশকিছু তারকা বিদেশি ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তিতে কাগজে কলমে বাঘের কাতারেই নাম লিখিয়েছে দলটি। রংপুর রাইডার্স ছেড়ে এবার ঢাকায় নাম লিখিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবারের বিপিএলে দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকটিও পাচ্ছেন এ অলরাউন্ডার।

সাকিব ছাড়াও দলে রয়েছেন মিস্টার ফিনিসার খ্যাত নাসির হোসেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেটের নবীন তারকা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের অন্তর্ভুক্তি দলের শক্তি শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফমার সানজামুল ইসলাম, আলাউদ্দিন বাবু, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও মেহেদী মারুফের মতো ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে তারা। আছেন মোহাম্মদ শহীদ, ইরফান শুক্কুর ও তানভীর হায়দার খানের মত উদীয়মান তারকারাও।

বিদেশি ক্রিকেটার সংগ্রহেই সবার থেকে এগিয়ে ঢাকা’ই। দুই লঙ্কান কিংবদন্তী কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়াবর্ধনেকে দলে নিয়েছে ঢাকা। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ও ডোয়াইন ব্রাভোও আছেন এ দলে। আছেন সাম্প্রতিক সময়ে আলো ছড়ানো এভিন লুইসও। আর বাংলাদেশের মাটিতে নিয়মিত পারফরমার রবি বোপারাকেও দলে ভিড়িয়েছে দলটি। এছাড়াও আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওয়েন পার্নেল, শ্রীলঙ্কার সেকুগে প্রসন্ন ও পাকিস্তানের উসামা মির।

চিটাগাং ভাইকিংস
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সব সংস্করণের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবারও নেতৃত্ব দিবেন চিটাগাং ভাইকিংসের। জাতীয় দলে তার প্রাপ্তি দুই হাত ধরে পেলেও বিপিএলে এখন পর্যন্ত তার প্রাপ্তি শূন্য। সে আক্ষেপ মিটাতেই দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছে তারা।

শিরোপা জয়ের লক্ষেই এবার গতবারের দল থেকে এনামুল হক বিজয় ও তাসকিন আহমেদকে রেখেছে চিটাগাং। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুইজনই পরীক্ষিত পারফরমার। এছাড়াও আছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক ও জহুরুল ইসলাম অমি। সম্প্রতি টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া শুভাশিস রায়কেও দলে নিয়েছে তারা। এছাড়াও আছেন জাকির হাসান, জুবায়ের হোসেন লিখন ও মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামকে দলে নিয়েছে বন্দরনগরীর দলটি।

বিদেশি ক্রিকেটারেও দারুণ সংগ্রহ করেছে চিটাগং ভাইকিংস। ক্যারিবিয়ান দানব ক্রিস গেইলকে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। তার সঙ্গে রয়েছেন ডোয়াইন স্মিথ, শোয়েব মালিক, চতুরঙ্গ ডি সিলভা, মোহাম্মদ নবীর ধারাবাহিক পারফরমরাও। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ট ইলিয়ট, পাকিস্তানের ইমরান খান জুনিয়র, জীবন মেন্ডিসকেও নিয়েছে দলটি। তরুণ ইংলিশ বাঁহাতি এ পেসার টাইমাল মিলসের উপরও আস্থা রেখেছে তারা।

বরিশাল বুলস
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাদা জার্সির অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বিপিএলের প্রথম তিন আসরে খেলেছেন তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির দলে। প্রথমবার নিজের বিভাগ দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে খেলার পর দ্বিতীয় আসরে খেলেছেন সিলেট রয়ালসের হয়ে। তৃতীয় আসরে সিলেটে থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলে পান সুপার স্টার্সেকে। এবারও নতুন দল পেয়ে গতবারের ফাইনালিস্ট বরিশাল বুলসের হয়ে খেলবেন তিনি।

গত আসরে ফাইনাল হারের আক্ষেপ ঘুচাতে এবার ঘরোয়া ক্রিকেটারদের সেরা পারফর্মারদের দলে নিয়েছে বরিশাল। তবে সে তুলনায় বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। গত আসরের দল থেকে আল-আমিন হোসেন ও তাইজুল ইসলামকে ধরে রেখেছে তারা। গত আসরে বিপিএলে চমক দেখানো আবু হায়দার রনিকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে দলটি। গত আসরে ২১ উইকেট নিয়ে রনি উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এছাড়াও শামসুর রহমান শুভ, কামরুল ইসলাম রাব্বী ও নাদিফ চৌধুরীকে দলে নিয়েছে বুরিশাল। শামসুর রহমান ছিলেন দ্বিতীয় আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কামরুল ইসলাম রাব্বি চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সেরা বোলার। এছাড়াও ঘরের ছেলে শাহরিয়ার নাফীসও আছেন দলে। তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানও আছেন এ দলে।

বিদেশি ক্রিকেটারদের স্পিন অলরাউন্ডার দিলশান মুনাবেরাকে দলে নিয়েছে বরিশাল। তবে বিদেশিদের মধ্যে তাদের সেরা সংগ্রহ কার্লোস ব্রাফেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জেতাতে শেষ চার বলে চার ছক্কা হাঁকানো ব্রাফেট এবারই প্রথম বিপিএল খেলবেন। এছাড়াও আছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান জোসুয়া কব।

রাজশাহী কিংস
বর্তমান বাংলাদেশ দলের একমাত্র টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ধরা হয় সাব্বির রহমানকে। প্রথমবারের মতো এবার আইকন ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। আর আইকন হয়ে ঘরের দলেই খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

তবে রাজশাহী কিংসের সেরা সংগ্রহ হয়ে থাকছে মেহেদী হাসান মিরাজ। কদিন আগেও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত মেহেদী হাসান মিরাজ এখন বাংলাদেশের জাতীয় তারকা। ইংলিশ বধের মূল নায়ক এবার রাজশাহীর মূলশক্তি। তবে বল হাতে আগুন ঝরানো এ তারকা এবার জ্বলে উঠতে চাইবেন ব্যাট হাতেও। সাব্বির-মিরাজের সঙ্গে রয়েছেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কাজী নুরুল হাসান সোহানও।

টি-টোয়েন্টিতে খেলার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দলেও ছিলেন এ নবীন। এছাড়াও আছেন টেস্ট স্পেশালিস্ট মুমিনুল হক। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত রনি তালুকদার ও সালমান হোসেনকে দলে নিয়েছে তারা। আছেন ফরহাদ রেজা, রকিবুল হাসান, আবুল হাসান রাজু ও নাজমুল ইসলাম অপুর মত ঘরোয়া ক্রিকেটে আলো ছড়ানো ক্রিকেটাররা। এছাড়া পেসার হান্ট থেকে উঠে আসা এবাদত হোসেনও।

বিদেশি ক্রিকেটারদের দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিকে দলে নিয়েছে তারা। এ ছাড়াও পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ সামিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। শ্রীলঙ্কান দুই ক্রিকেটার মিলিন্দা সিরিবর্ধনে ও উপল থারাঙ্গাও খেলবেন এ দলে। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল আছেন দলটিতে।

খুলনা টাইটান্স
মাশরাফির পর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক ভাবা হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। সেই মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বেই এবার শিরোপা স্বপ্ন দেখছে খুলনা। দলে বড় কোনো তারকা নেই। তবে পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের উপর আস্থা রেখেছে দলটি। সঙ্গে আছেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল।

মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জাতীয় দলের সতীর্থ শফিউল ইসলামও আছেন খুলনায়। এছাড়াও আছেন শুভাগত হোমের মত প্রতিভাবান ক্রিকেটারও। এছাড়াও গত বিপিএলের ফাইনালের নায়ক অলোক কাপালিকে দলে নিয়েছে তারা। সঙ্গে রয়েছেন আরিফুল হকের মত তরুণরাও। এছাড়াও প্রিমিয়ার লিগে তরুণ ঝড় তোলা ওপেনার হাসানুজ্জামানও আছেন খুলনায়।

বিপিএলের নিয়মিত তারকা কেভিন কুপার এবার কুপার খেলবেন খুলনায়। ৪৯টি উইকেট নিয়ে বিপিএলের সর্বাধিক উইকেটশিকারি এ ক্যারিবিয়ান। সঙ্গে আছেন সতীর্থ আন্দ্রে ফ্লেচার ও লেন্ডল সিমন্স। এছাড়া নিকোলাস পুরান, রিকি ওয়েলস, বেন হওয়েলকে উদীয়মান ক্রিকেটারদের নিয়েছে খুলনা।

রংপুর রাইডার্স
গতবারও রংপুর রাইডার্সে খেলেছিলেন সৌম্য সরকার। তবে সেবার মধ্যমণি ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এবার এ দলটির মূল ভরসা সৌম্যর উপরেই। সাম্প্রতিক সময়টা ভালো না গেলেও হয়েছেন প্রথমবারের মত আইকন খেলোয়াড়। তার সঙ্গে খেলবেন গতবারের সতীর্থ মোহাম্মদ মিঠুন ও আরাফাত সানিও। গত আসরে এ তিন ক্রিকেটারের কেউই তেমন আলো ছড়াতে পারেননি। তারপরেও তাদের উপরই আস্থা রেখেছেন দলটি।

তবে পাশে পাচ্ছেন এক ঝাঁক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে। নাঈম ইসলাম, ইলিয়াস সানি, জিয়াউর রহমান, মুক্তার আলী, সোহাগ গাজী মত অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা খেলবেন রংপুরে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন পিনাক ঘোষ, মেহরাব হোসেন জসি ও শাহবাজ চৌহানের মত তরুণ ক্রিকেটারও। এছাড়াও বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা পেসার রুবেল হোসেনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা।

তবে দলটির নেতৃত্বে থাকবেন পাকিস্তানের বুমবুম শহিদ আফ্রিদি। টি-টোয়েন্টির অন্যতম সেরা ক্রিকেটারই পাকিস্তানের এ সাবেক অধিনায়ক। সঙ্গে আছেন আফগান তারকা মোহাম্মদ শাহজাদের মত বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। এছাড়াও বাংলাদেশে অভিষেক হওয়া ইংলিশ ক্রিকেটার বেন ডাকেটকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। সঙ্গে রয়েছেন আরেক ইংলিশ লিয়াম ডসনও। এছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ ওপেনার গিড্রন পোপেকেও নেওয়া হয়েছে তারা। আছেন নাসির জামশেদ ও সচিত্রা সেনানয়েকেও।

জাগো চ্যাম্পিয়নের ১৪তম সংখ্যা পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

আরটি/আইএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।