এক জুটির পরই সব শেষ!


প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

শুরুতেই আউট ইমরুল কায়েস। শঙ্কার ভূত চেপে বসেছিল তখনই। ইংলিশ বোলিংয়ের সামনে না জানি কতটা অসহায় হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ! না, সে ভূত চাপেনি। এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল আর মুমিনুল হক। দ্বিতীয় উইকেটে ১৭০ রানের বিশাল জুটি গড়লেন তারা দু’জন।

শঙ্কা উড়িয়ে দেয়াই নয় শুধু, তামিম-মুমিনুলের জুটি ইংলিশদের মনেও ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। দেড় সেশনেরও বেশি ব্যাট করে ইংলিশ বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন দু’জন। একদিকে ঝড়ো ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তামিম, অপর দিকে মুমিনুলও আভাস দিলেন ফর্মে ফেরার।

৪১.১  ওভারেই ১৭০ রানের বেশি তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ। শঙ্কার ভূত তখন রীতিমত ইংলিশদের ঘাড়ে। এ সময়ই মঈন আলির এক জোরালো এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। রিভিউর আবেদন করলেন তামিম। তাতে কোন লাভ হলো না। রিভিউতে দেখা গেলো যেন, বল বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল থাকলো।

ভেঙে গেলো ১৭০ রানের জুটি। কে ভেবেছিল এই ভেঙে যাওয়াটা মহা এক বিপর্যয়কে ডেকে আনবে! যে বিপর্যয়ে ইদানিং খবে বেশি করেই পড়ছে বাংলাদেশ। একটি জুটি ভেঙে গেলে সেই চাপ আর সামলাতে পারে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আজও পারেনি।

ইংলিশ স্পিানর এবং পেসারদের ঘূর্ণি ও আউট সুইং বোলিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিল। ১৭০ রানের এত বড় জুটির পর আর দুটি মাত্র জুটি পার হয়েছিল দুই অংকের ঘর। এর মধ্যে ১৯ রানের জুটি হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ আর মুমিনুল এবং ১০ রানের জুটি হয়েছিল সাকিব আর শুভাগত হোমের মধ্যে। বাকিরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার মিছিলে।

১ উইকেটে ১৭১ রান থেকে ২২০ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। অথ্যাৎ শেষ ৪৯ রানে পড়লো বাংলাদেশের ৯ উইকেট। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭ রানের মধ্যে পড়েছিল শেষ ৬ উইকেট। অথ্যাৎ চট্টগ্রামের ভূত আবারও চেপে বসেছে ঢাকা টেস্টে। যে উইকেটে তামিম-মুমিনুল এমন দুরন্ত ব্যাটিং করতে পারেন, সে উইকেটে কেন অন্যরা এতটা ব্যর্থ?

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।