মঈনকে ফেরালেন সাকিব
একবার সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া মইন আলিকে সাজঘরে ফেরালেন সাকিব। এর আগে সাকিবের বলে শর্ট লেগে থাকা মুমিনুল হককে ক্যাচ দিলেও বল তার হেলমেটের গ্রিল স্পর্শ করায় বেঁচে যান মঈন। তবে সুইপ করতে গিয়ে তার গ্লাভস ছুঁয়ে আসা বল ঝাঁপিয়ে নিজের তালুবন্দি করেন মুশফিক। এ প্রতিবেদন লেখা পজন্ত ইংলিশদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮৮ রান।
বাংলাদেশের চেয়ে ৪৫ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে কুক-ডাকেট। তবে প্রথম ইনিংসের ন্যায় দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট খেলতে নামা কুক। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া মিরাজের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ সাজঘরে ফেরেন কুক (১২)।
এরপর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। জো রুটকে (১) এলবিডব্লিউয়ে ফাদে ফেলেন টাইগার এই বোলার। সাকিবের পরের ওভারে মুমিনুলের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডাকেট (১৫)। আর মধ্যাহ্ন বিরতির পর তাইজুলের বলে ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফিরে যান গ্যারি ব্যালেন্স।
এর আগে অনেকটা আশা নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে সবাইকে হতাশ করে আগের দিনের ৫ উইকেটে ২২১ রানের সঙ্গে মাত্র ২৭ রান যোগ করতেই শেষ বাকি ৫ উইকেট। যেখানে টাইগাররা স্বপ্ন দেখছিল লিড নেওয়ার উল্টো সেখানে ৪৫ রানে পিছিয়ে থেকে প্রথম ইনিংস শেষ করলো মুশফিক বাহিনী।
প্রথম ইনিংসে ইংলিশদের থেকে ৭২ রান দূরে থেকে তৃতীয় দিন ব্যাটিং শুরু করে টাইগাররা। তবে দিনের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। মঈন আলির বলে ডাউন দা উইকেটে মারতে আসলে বল মিস করেন সাকিব। উইকেট রক্ষক বেয়ারস্টো সহজেই স্ট্যাম্পিং করেন।
সাকিবের বিদায়ের পর সাজঘরে ফেরেন শফিউল। আদিল রশিদের বলে বিগ শট নিতে গিয়ে স্টুয়ার্ট ব্রডের হাতে মিডঅনে ক্যাচ তুলে দেন ২৯ বলে ২ রান করা শফিউল। এরপর অভিষেকে বল হাতে জ্বলে উঠলেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন মিরাজ। স্টোকসের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
আর এক ওভারে সাব্বির রহমান ও কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ফিরিয়ে ২৪৮ রানে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন বেন স্টোকস। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় সাব্বিরের ৩২ বলে ১৯ রানের ইনিংস। আর ঐ ওভারেই শূন্য রানে বোল্ড হন আরেক অভিষিক্ত ক্রিকেটার রাব্বি।
এমআর/এবিএস