রোববার আসছে নতুন কর্মসূচি


প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অবরোধের সঙ্গে সর্বাত্মক হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। আগামী রোববার এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের ক্ষমতার সূর্য অস্তমিতপ্রায়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, নৈতিক, সাংবিধানিক,গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, অন্যায্য ও অবৈধ একটি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত অবৈধ সরকার বর্গী শাসকদের কায়দায় দেশ শাসন করছে। যেখানে নিরন্তরভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে নাগরিকদের সাংবিধানিক ও মানবিক অধিকার।

আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত বিএনপিকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার বিরামহীন অপচেষ্টা ও অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে প্রতিদিন সুপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের দিয়ে সহিংসতা ও পেট্রোল বোমার নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে বিরোধী দলের ওপর তার দায় চাপিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভুতি আদায়ের নিষ্ফল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিশিষ্ট কূটনীতিবিদ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের ওপর বর্বর হামলা ও হত্যা প্রচেষ্টার দায়ভারও বিএনপি’র ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত এই মামলায় তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। একই কায়দায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের আরেক উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সাবিহ উদ্দিন আহমেদের ওপরও ন্যাক্কারজনক হামলা ও তার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বুধবার আরেক উপদেষ্টা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর ফেনীর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও বোমা নিক্ষেপ করেছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। আমরা এজাতীয় সকল ঘটনার প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং উক্ত ঘটনাসমূহের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সমগ্র জাতি গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে, গত রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে রাতের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে সরকারী পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর লোকেরা। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং কার্যালয়ে অবস্থানরত সকলেই এখনও অভুক্ত অবস্থায় আছেন। ভাতে মারার আর পানিতে মারার নীতি অবলম্বন করে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট ক্যাবলসহ সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে শেখ হাসিনা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিষ্ঠুর কায়দায় হত্যার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। জলকামান, বালির ট্রাক, মরিচের স্প্রেসহ সকল ঘৃণ্য কায়দায় নির্যাতন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে দেশনেত্রীকে একচুলও সরাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বর ও হীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আওয়ামী সরকার সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মানকে ভুলুন্ঠিত করছে।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এবারের সংগ্রাম দেশরক্ষার সংগ্রাম, স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার সংগ্রাম, অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করার সংগ্রাম, ভোটের অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার  সংগ্রাম। জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে দেশনেত্রী যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছেন। দেশের মুক্তিকামী আপামর জনসাধারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিরন্তর লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এএইচ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।