১৫ মাসের বিরতি বড় বাধা নয় : মুশফিক


প্রকাশিত: ০৭:২৩ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

১৫ মাস! লম্বা সময়ই বটে। এতটা সময় টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে থাকাটা কোনো দলের জন্য ভালো নয়, এটাই বাস্তব। আর এমন অভিজ্ঞতা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ২০১৫ সালের জুলাই-আগস্টে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর পাঁচদিনের ক্রিকেট ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের।

তবে ১৫ মাসের এই বিরতিও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় কোনো বাধা হিসেবে দেখছেন না মুশফিকুর রহীম। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের কনফারেন্স হলে আজ বুধবার দুপুরে সিরিজের প্রথম টেস্ট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনটাই জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

গত ১৫ মাস ধরে টেস্ট খেলার বাইরে ছিলেন, এতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সমস্যা হতে পারে কি না? এই প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘আসলে ১৫ মাসের বিরতি বড় বাধা নয়। কারণ আমাদের টেস্ট দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় (সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ.....) বাকি দুই ফরম্যাটে আছে। যদিও তারা ১৪-১৫ মাস টেস্ট খেলার বাইরে ছিল, তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে ছিল না। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছে। তাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’

টেস্ট ফরম্যাটে ইংল্যান্ড বেশ শক্তিশালী দল। র‌্যাংকিংয়ে তাদের অবস্থান চতুর্থ। বিশ্বের অন্যতম একটি সেরা দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলাটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই মানছেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক মুশফিক। বলেন, ‘ইংল্যান্ড সমীহ জাগানো দল। এই সিরিজটা আমাদের জন্য সত্যিকারেই চ্যালেঞ্জ। এই সিরিজে আমাদের লক্ষ্য থাকবে পাঁচদিন ব্যাটিং-বোলিংয়ের সেরা খেলাটাই উপহার দেয়া। প্রত্যেকটা সেশন অনুযায়ী ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ভালো খেলার পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামবো।’

গত দুই বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ভালো খেলেছেন টাইগাররা। সেই ধারাবাহিকতা টেস্টেও আনতে চান মুশফিক। বলেন, ‘দেখবেন, দুই বছর ধরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আমাদের ভালো সময় কেটেছে। অনেক ম্যাচ জিতেছি, আবার হেরেছিও। কাজেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে জয়-পরাজয়ের চেয়েও এই ফরম্যাটে আমাদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির ধারাবাহিকতা নিয়ে আসতে হবে। তার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটাই উজাড় করে দেবো।’

এআরবি/এনইউ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।