সাকিবেরই মনে নেই কবে টেস্ট খেলেছেন!


প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৬

টেস্ট ম্যাচ বেশি না খেলার আক্ষেপ সব সময়ই ঝরে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মুখ থেকে। কিছুদিন আগেও একবার অলরাউন্ডার নাসির হোসেন আক্ষেপ করে বলেছিলেন, কবে টেস্ট খেলেছি মনে নেই। এবার একই আক্ষেপ ঝরে পড়লো বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কণ্ঠ থেকেও। তিনি নিজেই জানালেন, কবে লংগার ভার্সনের ক্রিকেট খেলেছেন সেটা তার মনে নেই।

গত বছর ৩০ জুলাই সর্বশেষ সাদা পোষাকে খেলতে নেমেছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩০ জুলাই শুরু হওয়া সেই টেস্টটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩ আগস্ট; কিন্তু সেই টেস্টের খেলা হয়েছিল মাত্র একদিন, ৩০ জুলাই। বাকি চারদিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। সেই যে ৩০ জুলাই সাদা পোষাকে মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসানরা- এরপর প্রায় ১৪ থেকে ১৫ মাস কেটে গেছে, আর টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি তারা।

লংগার ভার্সনের ক্রিকেট খেলতে না পারার আক্ষেপ তাই সাকিবের কণ্ঠ থেকে ঝরে পড়ার কথাই। দীর্ঘ ১৪-১৫ মাস পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার শুরু হবে সেই বহু আকাংখিত টেস্ট সিরিজ। তার আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাকিব আক্ষেপের সুরেই বললেন, কবে লংগার ভার্সনের ক্রিকেট খেলেছেন সেটা এখনও আর জানেন না।

অনেকদিন পর টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামছেন। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে সাকিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা সবাই চেষ্টা করছি প্রস্তুতিটা ভালো ভাবে নেওয়ার জন্য। আমরা যেহেতু অনেকদিন টেস্ট ম্যাচ খেলি না। আর আমি তো লংগার ভার্সন কবে খেলছি, আমার কাছে মনে নেই। সুতরাং আমার জন্য অনেকটা কঠিন। দেখা যাক কি হয়, চেষ্টা করছি ওইরকম মাইন্ডসেট তৈরি করার। সত্যি কথা বলতে, খুব বেশি প্রস্তুতির কিছু নেই। মানসিক দিক থেকে যতবেশি ঠিক থাকা যাবে , টেস্ট ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকা যাবে। আমার মনে হয় এর বেশি কিছু প্রয়োজন নেই।’

সাকিবের মতে, আগে তো জাতীয় লিগগুলোও খেলতে পারতেন তারা। এখন সেগুলোও হচ্ছে না। ওয়ানডেই তারা খেলেছেন দীর্ঘদিন পর। যে কারণে ওয়ানডেতে মানিয়ে নিতেই বেশ সময় লেগেছে তাদের। সুতরাং, টেস্টে যে এর কিছু প্রভাব পড়বে, সেটা বলাই বাহুল্য।

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।