ঐতিহাসিক টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি আজহারের


প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের টেস্টটি দুই দিক দিয়ে ঐতিহাসিক। ইতিহাসে ৪০০তম টেস্ট খেলার পাশাপাশি এটা নিজেদের এবং এশিয়ার মাটিতে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টও বটে। ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় দিবা-রাত্রির। এই ঐতিহাসিক টেস্টেই কি না গৌরবময় ট্রিপল সেঞ্চুরি করে ফেললেন পাকিস্তানের ওপেনার আজহার আলি।

১৫৬তম ওভারের তৃতীয় বলে জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে কভার অঞ্চল দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েই ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেললেন আজহার। একই সঙ্গে পাকিস্তানের চতুর্থ এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন তিনি। যদিও তার এটা নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ট্রিপল সেঞ্চুরি হয়েছে মোট ২৯টি। চারজন ব্যাটসম্যান দুবার করে ঐতিহাসিক এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন।

৪৬৯ বলেই গৌরবের মাইলফলক স্পর্শ করেন আজহার। ঐতিহাসিক ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি ২৩টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার সমাহারে। দীর্ঘ ৬৫৮ মিনিট উইকেটে ছিলেন তিনি। দিবা-রাত্রির টেস্টে এটাই প্রথম সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি এবং ট্রিপল সেঞ্চুরি।

এর আগে গত বছর অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলেছিল অসিরা। ওই টেস্টে কোন সেঞ্চুরি হয়নি। এক বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো গোলাপি বলে ফ্লাড লাইটের আলোয় টেস্ট গড়ালো মাঠে এবং এই ফরম্যাটের টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করার গর্বিত মালিক হলেন আজহার আলি।

টেস্টের প্রথম দিন সেঞ্চুরি করার পর অপরাজিত ছিলেন ১৪৬ রানে। দ্বিতীয় দিন সেই রানে মাঠে নেমে ক্যারিবীয় বোলারদের বেশ স্বচ্ছন্দেই খেলতে থাকেন পাকিস্তানি এই ওপেনার। ৩৫৭ বলে পূরণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি। বাউন্ডারি ছিল তখন ১৯টি এবং ছক্কা একটি। আজহার আলির এরপরের মিশন ছিল নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া।

এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেই ২২৬ রান করেছিলেন আজহার আলি। আজ সেটাকে তো ছাড়ালেনই, দিবা-রাত্রির ইতিহাসে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরিটাও করে ফেললেন। হানিফ মোহাম্মদ, ইনজামাম-উল হক এবং ইউনিস খানের পর চতুর্থ পাকিস্তানি হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরির গৌরবে নাম লেখালেন তিনি।

বাউন্ডারি মেরে যখন উল্লাসে মেতে উঠলেন আজহার তখন গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা উঠে দাঁড়িয়েছে এবং ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানালেন কোচ মিকি আর্থারসহ দলের ক্রিকেটার এবং কর্মকর্তারা। অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক ছিলেন উইকেটে তার সঙ্গী। অধিনায়ক এসে আজহার আলিকে বুকে জড়িয়ে নিলেন।

এরপর সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে সিজদায় অবনত হলেন তিনি। আজহার আলির ট্রিপল পূরণের সঙ্গে সঙ্গেই ইনিংস ঘোষণা করেন মিসবাহ-উল হক। ৩ উইকেট হারিয়ে ততক্ষণে ৫৭৯ রান করেছে পাকিস্তান।

৯০ রান করেন সামি আসলাম। ৬৭ রানে আউট হন আসাদ শফিক, অভিষিক্ত বাবর আজম আউট হন ৬৯ রান করে। ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন মিসবাহ-উল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দেবেন্দ্র বিশু নেন ২ উইকেট এবং রোস্টন চেজ নেন ১ উইকেট।

আইএইচএস/এএম

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।