বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মাশরাফি


প্রকাশিত: ০৪:১০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৬

জয়ের জন্য ২৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে যেভাবে ইংলিশরা এগিয়ে যাচ্ছিল, তাতে তাদের পক্ষে জয়টা খুব সহজই মনে হচ্ছিল। নাসির আর মোসাদ্দেকে দুই উইকেটের পতন ঘটলেও দেখা গেছে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে ক্রমেই পেছনে ঠেলে দিচ্ছেন বেন ডাকেট। অবশেষে তাকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠাতে পারলেন শফিউল ইসলাম।

৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে স্কুপ খেলতে গিয়েছিলেন ডাকেট। কিন্তু ব্যাটে বলে হয়নি ঠিক মত। ব্যাটের কানায় লেগে বল বেরিয়ে যাওয়ার মুহূতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার ক্যাচটি তালুবন্দী করলেন মুশফিকুর রহীম। ৬৮ বলে ৬৩ রান করে আউট হন ডাকেট। এর আগেও জনি বেয়ারেস্টকে বোল্ড করেন শফিউল।

এরপর জস বাটলার আর বেন স্টোকসের ব্যাটে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। দু`জনের ৪৮ রানের জুটি বাংলাদেশকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। এ সময় টাইগারদের ম্যাচে ফেরালেন মাশরাফি। দুর্দান্ত বোলিং করলেন এ সময় মাশরাফি। বোল্ড করে ফেরালেন জস বাটলারকে। ২৫ রানে আউট হন বাটলার। মঈন আলিকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন মাহমুদউল্লাহর হাতে।

এ রিপোর্ট লেখার সময় ইংল্যান্ডের রান ৪৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৬। ৩৪ রানে উইকেটে রয়েছেন বেন স্টোকস আর ০ রানে রয়েছেন ক্রিস ওকস।

চট্টগ্রামের মাঠে ২৭৮ রান তাড়া করে জিততে হলে রীতিমত রেকর্ড গড়তে হবে ইংল্যান্ডকে। এই মাঠে যে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এখনও নেই! তবে রেকর্ড গড়ে জয়ের জন্য বেশ বদ্ধপরিকর ইংলিশরা। কারণ, দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেমস ভিন্স আর স্যাম বিলিংস শুরুটা করেছিলেন দুর্দান্ত। তাদের দু’জনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, খুব সহজেই বুঝি লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।

ইংলিশদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার জন্য ৫জন বোলার ব্যবহার করেন মাশরাফি। তিনি নিজে তো ছিলেনই। শফিউল, তাসকিন, এবং সাকিব আল হাসানকে দিয়ে যখন ব্রেক থ্রুটা আসতেছিল না, অবশেষে নাসিরকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন টিম বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন।

বোলিংয়ে এসেই ব্রেক থ্রু এনে দিলেন নাসির হোসেন। ১২তম ওভারের নিজের ৪র্থ বলে নাসিরের গুড লেন্থের বলটি সোজা গিয়ে আঘাত হানে জেমস ভিন্সের প্যাডে। জোরালো আবেদনে অবশেষে সাড়া দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার মরিস ইরাসমাস। ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান রিভিউ নেয়ার জন্য আলাপ করেছিলেন। তাতে আউটের সিদ্ধান্ত মেনেই মাঠ ছাড়েন জেমস ভিন্স।

আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে খেলেছিলেন ৩২ রানের একটি ইনিংস। ৫টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি। ভিন্স আউট হওয়ার পর স্যাম বিলিংসের সঙ্গে জুটি বাধেন বেন ডাকেট। এ দু’জন মিলে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দারুন চাপ তৈরী করে। ৬৪ রানের জুটি গড়াই নয় শুধু, দ্রুত গতিতে রান তোলার দিকেও বেশ মনযোগি হয়ে পড়েন তারা দু’জন।

এরই মধ্যে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে ফেলেন স্যাম বিলিংস। ৫০ বলে ৫০ রান করার পর অবশেষে ৬২ রানের মাথায় মোসাদ্দেক হোসেনের বলে কুপোকাত হলেন তিনি। মোসাদ্দেকের বলে সুইপ করতে গেলেন বিলিংস। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে গেলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ ধরেন ইমরুল কায়েস। দারুন এক ব্রেক থ্রু এনে দিলেন মোসাদ্দেক সৈকত।   

বেন ডাকেট আর স্যাম বিলিংস যেমন জুটি গড়েছিলেন, ঠিক একই রকম আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টা শুরু করে দেন বেন ডাকেট আর জনি ব্যারেস্ট। বাংলাদেশের বোলারদের কোন বলকেই তারা আর কঠিন মনে করছিল না। ৪৫ রানের জুটি গড়ার পর অবশেষে ইংলিশদের ওপর আবারও আঘাত হাতে পারলো বাংলাদেশ। শফিউল ইসলামের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন জনি বেয়ারেস্ট। ১৮ বলে ১৫ রান করেছিলেন বেয়ারেস্ট।

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।