লেগস্পিনারের খপ্পরে টাইগাররা!


প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৬

রশিদ খানের পর আদিল রশিদ। লেগস্পিনারের খপ্পরে মাশরাফির দল। প্রথমে আফগান লেগির টার্ন ও গুগলিতে বেসামাল হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। এবার ইংল্যান্ডের লেগস্পিনার আদিল রশিদকে খেলতেও নাভিশ্বাস উঠলো। তিন ম্যাচের সিরিজের এক খেলাতেও রশিদ খানকে স্বচ্ছন্দে খেলা সম্ভব হয়নি। ১০-০-৩৭-২, ১০-২-৩৫-৩ ও ১০-০-৩৯-২- তিন খেলায় ৭ উইকেট ঝুলিতে পুরে নিয়েছিলেন আফগান রশিদ খান।

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু আফগানিস্তানের সাথে সিরিজে শেষে জাগো নিউজের সাথে আলাপে বলেই ফেলেছিলেন, কোয়ালিটি লেগস্পিনের বিপক্ষে আমাদের ব্যাটসম্যানদের সমস্যা আছে। তারা ঠিক কি করবে, বুঝে উঠতে পারেনি।

মিনহাজুলের ধারণা, বিশ্বমানের লেগস্পিনারকে কম খেলার কারণেই এমন হয়েছে। জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়বক ও দেশের সব সময়ের অন্যতম কুশলী ব্যাটসম্যানের অনুভব যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ শুক্রবার বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড প্রথম ম্যাচ। এ ম্যাচে ইংলিশ লেগি আদিল রশিকে খেলতে আবারো কষ্ট হয়েছে টাইগারদের।

৪৯ রানে বাংলাদেশের চার ব্যাটসম্যানক আউট করে ইংল্যান্ডের জয়ের অন্যতম রূপকার এই লেগি। সেঞ্চুুরিয়ান ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহীম ও অধিনায়ক মাশরাফি তার বলে আউট হয়েছেন। অবশ্য চারজনই চার্জ করতে গিয়ে উইকেট দিয়ে এসেছেন। মাহমুদউল্লাহ আর মুশফিক প্রায় একই ঢংয়ে সুইপ করতে গিয়ে স্কোয়ার লেগ আর মিড উইকেটের মাঝামাঝি ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। ইমরুল অযথা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পড।

আর অধিনায়ক মাশরাফি অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরে পিচ পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিকে তাড়া করে কিপারের গ্লাপসে ক্যাচ দেন। লেগস্পিনারের বলে চার পরিণত পারফরমারের আউট হবার ধরণ চোখে লেগেছে। বার বার মনে হয়েছে কোয়ালিটি লেগস্পিনের বিপক্ষে ব্যংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দ্বিধাগ্রস্ত। মারবো না মারবো, শটস খেলবো না খেলবো করেই উইকেট দিচ্ছেন।

অধিনায়ক মাশরাফি অবশ্য তা মানতে নারাজ। তার ব্যাখ্যা, শুরুতে লেগস্পিনার আদিল রশিদ কোন উইকেট পায়নি। মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের উইকেট পেলেও ইমরুল-সাকিব তাকে ভালোই সামলেছে। পর পর দুই উইকেট পড়ায় রশিদের সম্ভাবনার জায়গা তৈরি হয়।

 

এআরবি/আইএইচএস/এএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।