সেঞ্চুরিয়ান স্টোকসকে ফেরালেন মাশরাফি


প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৬

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সব সময়ই দুর্দান্ত পারফরমার শফিউল ইসলাম। ২০১১ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচ বলুন কিংবা ২০১০ সালে ব্রিস্টলের সেই ম্যাচ- সব জায়গাতেই পারফরমার শফিউল ইসলাম। মাঝে দু’বছর হারিয়ে গিয়েছিলেন প্রায়; কিন্তু ঠিকই ফিরে এলেন ইংল্যান্ড সিরিজে। শুধু ফিরে আসাই নয়, একাদশেও ঠাঁই মিলে গেলো তার এবং টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার দারুণ প্রতিদান দিলেন তিনি।

বেন ডাকেট আর বেন স্টোকসের ব্যাটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড। শুরুতে ৬৩ রানে তিন উইকেট হারানোর পর বেন ডাকেট আর বেন স্টোকস ১৫৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন। কোনভাবেই উইকেট ফেলতে পারছিলেন না মাশরাফি। একের পর এক বোলার পরিবর্তন করেও কোন সাফল্য পাচ্ছিলো না বাংলাদেশ। অবশেষে শফিউলকে আক্রমণে এসে সাফল্য পেলেন মাশরাফি।

৩৯তম ওভারের শেষ বলে শফিউলের ফ্লাইট দেওয়া ডেলিভারিটা হাঁটুগেড়ে শট খেলতে যান বেন ডাকেট। বল সোজা তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ভাঙ্গে ১৫৩ রানের বিশাল জুটি। ৭৮ বলে ৬০ রান করে আউট হন ডাকেট।

শফিউলের পর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি ফেরালেন সেঞ্চুরি করা বেন স্টোকসকে। চরম বিপর্যয়ে পড়া ইংল্যান্ডকে বেন স্টোকস শুধু তুলেই আনেননি, গড়ে তুলেছেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর। একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের ৭ম সেঞ্চুরিটাও তুলে নেন তিনি। ৯৮ বলে ১০০ রান করা বেন স্টোকস ১০০ বলে ১০১ রান করে আউট হলেন মাশরাফির বলে।

মাশরাফির বলটিকে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে পুল করতে চেয়েছিলেন স্টোকস। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে গেলে সেটি তালুবন্দী করেন সাব্বির রহমান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রান ৪২.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৭। ১৫ রানে উইকেটে রয়েছেন জস বাটলার এবং ২ রানে উইকেটে রয়েছেন মঈন আলি।

এর আগে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড। শুরুতে আঘাতটা হেনেছিলেন পেসার শফিউল ইসলাম। ফিরিয়েছিলেন জেমস ভিন্সকে। এবার সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি তোপে পড়ে উইকেট হারালেন জেসন রয়। এর খানিক পর রানআউট হয়ে ফিরে যান জনি ব্যারেস্ট।

৬৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন চোখে শর্ষে ফুল দেখতে শুরু করেছিল ইংলিশরা, তখন বেন ডাকেট এবং বেন স্টোকসের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা।

শুরুতে ইংলিশদের ওপর আঘাত হানেন পেসার শফিউল ইসলাম। ১৬ রান করা জেমস ভিন্সকে ফেরান তিনি। এরপর জেসন রয় বাংলাদেশের জন্য ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন। ৪০ বলে ৫টি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কায় ৪১ রান করে ফেলেছিলেন তিনি। সাকিব আসেন নিজের চতুর্থ ওভারের বল করতে। ওভারের দ্বিতীয় বলেই লং অনে সোজা ছক্কা মারতে যান রয়। বল গিয়ে সাব্বির রহমানের হাতে।

এর এক ওভার পরেই বাংলাদেশের আরেকটি দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের শিকার হলো ইংল্যান্ড। একদম শটে বল রেখে রান নিতে গিয়েছিলেন বেন ডাকেট এবং জনি ব্যারেস্ট। সাব্বির রহমানের সরাসরি থ্রো গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। টিভি রিপ্লে দেখে ব্যারেস্টকে আউট ঘোষণা করেন থার্ড আম্পায়ার।

এর আগে শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জস বাটলার। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে দুই ওপেনার রয় ও ভিন্স। ৭ ওভারেই তুলে নেন ৪১ রান। এরপর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন শফিউল। জেমস ভিন্সকে মাশরাফির তালুবন্দি করে সাজঘরে ফেরান টাইগার এই বোলার। আউট হওয়ার আগে ১৬ রান করে ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।