সেঞ্চুরির সঙ্গে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে ইমরুলের

ঘরোয়া ক্রিকেট কি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ধারাবাহিকভাবেই রান করে যান ইমরুল কায়েস; কিন্তু তারপরেও নতুনদের উত্থান ও টিম কম্বিনেশনের কারণে দলে সুযোগটা সেভাবে পান না তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি করলেন। আর এ সেঞ্চুরি করে একাদশে ফেরারও আশা করছেন তিনি। বর্তমান জাতীয় দলে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকায় এমন কিছুই করতে চেয়েছিলেন ইমরুল। গড়পড়তার পারফরম্যান্স করে টিকে থাকা কঠিন বলেও মনে করেন এ ওপেনার।

মঙ্গলবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে ইমরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ দল এখন চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। অনেক প্রতিযোগিতা। এখন গড়পড়তা পারফরম্যান্স করে টিকে থাকা খুব কঠিন, একটু এক্সট্রা-অর্ডিনারি পারফরম্যান্স না করলে কোনভাবেই সম্ভব নয়। শেষ একটা ওয়ানডে খেলার পর দুটি ওয়ানডেতে আমি বসে ছিলাম। আম অনুভব করছি, আমাকে আরও ভালো কিছু করতে হবে। যার জন্য হয়তোবা আজকে সাফল্য পেয়েছি।’

মঙ্গলবার দিনের প্রথম বল থেকেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছেন ইমরুল কায়েস। ক্রিস ওকসকে কাভারের উপর দিয়ে দারুণ এক বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন তিনি। মাত্র ৮১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন এ ওপেনার। তবে সেঞ্চুরির পর ডেভিড উইলির এক ওভারে দুই ছক্কা মারার পর তৃতীয় ছক্কা মারতে গিয়ে বোল্ড হওয়ার আগে ৯১ বলে ১২১ রান করেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। এ রান করতে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন তিনি।

নিজের ইনিংস সম্পর্কে ইমরুল বলেন, ‘মাইন্ড সেটআপটা বড় জিনিস ছিল। এর আগে কয়েকটা ম্যাচে আমার মাইন্ড সেটআপ ছিল উইকেটে থেকে রান করব। আজকে প্রথম থেকে ইতিবাচক ছিলাম। প্রথম বল ব্যাটে লেগেছে। গত দুই দিন আগে কোচ আমাকে একটা পরামর্শ দিয়েছে, যেটা আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। এটা আজকেও আমার খেলায় কাজে লেগেছে। ওইটা মাথায় ছিল, আমি ওইভাবে পরিকল্পনা করে আজকে ব্যাট করেছি।’

তবে ইমরুলের জন্য কিছুটা হলেও দুঃখজনক- এমন দারুণ এক সেঞ্চুরি লেখা থাকবে না তার নামের পাশে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে আন্তর্জাতিক আবহ থাকায় নিজের আত্মবিশ্বাস তৈরিতে সহয়তা করবে মনে করছেন তিনি,‘এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ না, তবে আন্তর্জাতিক ম্যাচের মতো সবকিছু ছিল। আমার জন্য এটা খুব দরকার ছিল। অনেক দিন পর এমন একটা ইনিংস খেলতে পারলাম। নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে আর সাথে আত্মবিশ্বাসটা বেড়েছে। এমন একটা দলের সঙ্গে সেঞ্চুরি করাটা অনেক বড় আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার।’

আরটি/আইএইচএস/এবিএস