তামিমের সপ্তম সেঞ্চুরি

দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন বাংলাদেশ দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল খান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতেই ফিফটি করেছিলেন তিনি। আউট হয়েছিলেন ৮০ রান করে। আক্ষেপে পুড়েছিলেন সেঞ্চুরি করতে না পারায়। ভক্তদের প্রশ্ন ছিল, এবার কী তবে সেই আক্ষেপ ঘুচবে?
হতাশ করলেন না তামিম। দুরন্ত সেঞ্চুরিটা এসেই গেলো তার। ক্যারিয়ারে ৭ম সেঞ্চুরিটা করে ফেললেন তিনি। ১২ ইনিংস পর এলো তামিমের কাংখিত সেঞ্চুরিটি।
সর্বশেষ গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংস। এর পর গত ১২ ম্যাচে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করলেও ইনিংসটাকে একটু বড় করে তিন অংক পর্যন্ত নিতে পারছিলেন না। অবশেষে পারলেন। সেঞ্চুরি করে জবাব দিলেন তাদের, যারা বলেছিলেন মিস্টার ফিফটি হয়ে যাচ্ছেন তামিম।
আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে অবশ্য ১ রানের মাথায়ই জীবন পেয়েছিলেন বাংলাদেশের এ ওপেনার। তার ব্যাট ছুঁয়ে ওঠা ক্যাচটি আসগর স্টানিকজাই তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হলেন।
জীবন পেয়ে সত্যিই জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশের এই ওপেনার। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নিতে খেলেছেন ৬৩ বল। বাউন্ডারি মেরেছেন ৫টি। এরপর ইনিংসটাকে আর হাফ সেঞ্চুরির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলেন না।
সেঞ্চুরি পূরণ করতে খেললেন ১১০ বল। বাউন্ডারি মেরেছেন ১০টি। আফগানদের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের প্রথম সেঞ্চুরি। এরপর দ্রুত রান তুলতে গেলেন তিনি। রহমত শাহকে টানা তিন বলে একটি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯তম ওভারে মোহাম্মদ নবির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন লং অফে নাভিন-উল হকের হাতে। ১১৮ বলে ১১৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি। ইনিংসটি সাজালেন ১১টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কায়।
আইএইচএস/আরআইপি