পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা না ফেলতে আইসিসিকে ভারতের আহ্বান


প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ক্রিকেট দিয়ে অনেক সময়ই দু`দেশের মধ্যে শান্তি ফিরে এসেছিল। এ কারণে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট কুটনীতিকে বলা হয় শান্তির প্রতীক। অথচ সেই ক্রিকেটকেই পাকিস্তানের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুরে রাখতে চাইছে ভারত।

এমনিতেই বৈরী সম্পর্কের প্রতিবেশী এই দেশটির বিপক্ষে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলছে না ভারত। পাকিস্তান সিরিজ খেলতে উদগ্রীব থাকলেও ভারত সব সময়ই নানা অজুহাতে এ থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করেছে। তবুও আইসিসির কল্যাণে মাঝে মধ্যে দেখা হয়ে যাচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের।

আইসিসি সব সময়ই চেষ্টা করে কোন টুর্নামেন্টে যদি দু`দল থাকে, তাহলে তাদেরকে একই গ্রুপে ফেলে একবারের জন্য হলেও মুখোমুখি করতে। কারণটা অবশ্যই বাণিজ্যিক। এই দু`দেশ ক্রিকেটে মুখোমুখি হওয়া মানেই অর্থনৈতিকভাবে আইসিসি বিশাল লাভের মুখ দেখা।

আর ক্রিকেট ভক্তরাও অপেক্ষায় থাকেন এই একটি ম্যাচ দেখার জন্য। এই ম্যাচটি মাঠে গড়ালে যে স্নায়ুর উত্তেজনা তৈরী হয়, তাতে করে ক্রিকেটের সব আকর্ষণই যেন এখানে এসে মিশে যায়। আগামী বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও একই গ্রুপে রেখে ভারত-পাকিস্তানকে মুখোমুখি করার ব্যবস্থা করেছে আইসিসি।

কিন্তু কাশ্মির ইস্যুতে যখন ভারত আর পাকিস্তান মুখোমুখি, যুদ্ধ প্রায় লেগে যাওয়া ভাব, তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইও হাঁটছে সেই যুদ্ধের ময়দানে। তারা আইসিসির কাছে অনুরোধ জানিয়েছে, আর কোন টুর্নামেন্টে যেন ভারত আর পাকিস্তানকে মুখোমুখি করা না হয়।

বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট অনুরাগ ঠাকুর বলেন, `পাকিস্তানকে এক ঘরে করে রাখার জন্য আমাদের সরকার নতুন নীতি গ্রহণ করেছে। এ কারণে দেশের মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আমরাও তাদের বিপক্ষে কোন পর্যায়ে আর ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। সেটা দ্বি-পাক্ষিক হোক কিংবা কোন টুর্নামেন্টে হোক। আমরা এ কারণে আইসিসির কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যেন ভবিষ্যতে ভারত আর পাকিস্তানকে একই গ্রুপে না ফেলে।`

যদি বহুজাতিক কোন টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের পরবর্তী রাউন্ডে দু`দল মুখোমুখি হয়ে যায়, তাহলে সেটা ভিন্ন পরিস্থিতি। তখন তাকে মেনে না নিয়ে উপায় নেই- জানান অনুরাগ।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।