তারুণ্যের মেলা
বুধবার মেলার চতুর্থ দিনে তরুণ প্রজন্মের পদচারণায় জমে উঠে অমর একুশে বই মেলা। কিছুটা বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়ে উঠছে অমর একুশে বইমেলা। তরুণ্যের উচ্ছলতার সেই চিরচেনা দৃশ্য এখন পুরো মেলা জুড়ে। পরিসর বড় হওয়ায় এবার মেলার অভ্যন্তরে অনেক ফাঁকা স্থান রয়েছে, আর সেসব স্থানে বসার জন্য ছাউনী ছাড়াও বাঁশের ফালি কেঁটে বেঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিকেল তিনটায় মেলার দ্বার উন্মোচনের পর থেকে আগমন ঘটতে থাকে তরুণ-তরুণীদের।
তারা মেলায় প্রবেশ করেই ওইসব বেঞ্চে বসে আড্ডায় মশগুল হয়ে পড়ছে। যে ভাষার জন্য বাঙালি জীবন দিয়েছিল, সে ভাষার টানেই সবাই ছুটে আসছে বাংলা একাডেমীর অমর একুশে গ্রন্থমেলা চত্বরে। মিলিত হচ্ছে একে অন্যের সঙ্গে। প্রতিদিনই বাড়ছে তরুণ পাঠক-দর্শনার্থীর সেই সংখ্যা।
বুধবার নতুন বই এসেছে ১০২টি। শিশু সাহিত্যিক রহিম শাহ বলেন, মেলায় পরিসর বাড়ায় এবার বেশ ছিমছাম পরিবেশে মেলা হচ্ছে। পাঠকরা বেশ আয়েশে বই নেড়েচেড়ে দেখছে। প্রথমবারের মত বেশ কয়েকটি প্যাভেলিয়ন হওয়ায় মেলার চিত্রই এবার পাল্টে গেছে। তাছাড়া মেলার অভ্যন্তরে ফাঁকা ফাঁকা স্থান থাকায় সবাই বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে চলাচল করতে পারছে।
অন্যদিকে কবি আরিফ নজরুল বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে এ মেলা। যে চেতনা বাঙালীকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে শক্তি যোগায়, সেই চেতনার কারণেই এ মেলার দিকে সেই আন্দোলনের কোন প্রভাব পড়বে না। তাছাড়া হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচী ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী বাঙালিকে কখনই রুখতে পারবে না।
আরকে/এআরএস/এমএস