এবার ফিরে গেলেন সৌম্য


প্রকাশিত: ০৯:৩৬ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মিরপুরের উইকেটে বোলারদের জন্য কী আছে তা দুই দলের দুই অধিনায়কই ভালো বলতে পারবেন। তবে বোলারদের জন্য যে সুবিধাজনক সেটা অন্তত ক্রিকেট ভক্তরা সম্ভবত বুঝে গেছেন। কারণ, বোলারদের ওপর আস্থা রেখেই আফগান অধিনায়ক আসগর স্টানিকজাই টস জিতে নিলেন ব্যাট করার সিদ্ধান্ত।

বোলিং শুরু করে তার ইতিমধ্যে বোলাররা আস্থার প্রতিদান দিতে শুরু করেছেন। অন্তত বাংলাদেশের দুই মারকুটে ওপেনারকে যেভাবে আটকে রাখতে সক্ষম হচ্ছেন সফরকারী বোলাররা তাতে সে ধারণাই প্রমাণিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শুরুতে দু’একবার আউটের সম্ভাবনাও তৈরী করেছিলেন বোলাররা এবং সেই আক্রমণে শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার।

আফগান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটাও হয়েছে খুব ধীর গতিতে। প্রথম ওভারে ৩, পরের ওভার মেডেন, এর পরের ওভারে ১ রান নিতে সক্ষম হন তামিম আর সৌম্য। চতুর্থ ওভারে ৯ রান নিয়ে হাত খোলার চেষ্টা করেন ব্যাটসম্যানরা।

আফগানদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের মুখে ১১তম ওভারে এসে উইকেট হারিয়ে বসলো বাংলাদেশ। মিরওয়াইজ আশরাফকে উড়িয়ে খেলতে গিয়ে দৌলত জাদরানের হাতে ক্যাচ দিলেন তামিম ইকবাল। ৩৬ বলে খেলা ২০ রানের ইনিংসটির অপমৃত্যুই ঘটলো এতে।

১৩তম ওভারে আবারও মিরওয়াইজ আশরাফের বোলিং তোপ। এবার আউট হয়ে গেলেন সৌম্য সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে বোলারেরি কৃতিত্বের চেয়ে ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতাই সবচেয়ে বেশি দায়ী। সৌম্য সরকার বলতে গেলে উইকেটটাই বিলিয়ে দিয়ে আসলেন আফগানদের।

১৩তম ওভারের প্রথম বলে মিরওয়াইজ আশরাফকে একটু এগিয়ে এসে খেলতে যান সৌম্য। সজোরে হাঁকালেও যে তার সেই শটে আত্মবিশ্বাসের চরম অভাব ছিল তা বোঝা গেছে আউটের ধরণ দেখেই। শট কভারেই হাশমতুল্লাহ শহিদীর হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৩১ বলে ২০ রান করেন তিনি।

এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান। ৯ রানে উইকেটে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম এবং তার সঙ্গী মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ রয়েছেন ৮ রানে।

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।