ম্যানসিটিতে তিন বছরের বিস্ময় ফুটবলার!


প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তার গায়ে বার্সেলোনার জার্সি। যতটুকুন বয়স, তাতে এখনও টেডি বিয়ার কিংবা কোন খেলনা গাড়ী নিয়ে খেলার কথা তার। মাত্র তিন বছর। এই বয়সেই কাউকে আদর্শ মেনে ফুটবলার হিসেবে বেড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখা তো রীতিমত বিস্ময়েরই। অথচ, জ্যাক্সন লাল নামে ম্যানচেস্টারের এই শিশুটির আদর্শ কি না লিওনেল মেসি!

এই এতটুকুন বয়সে তার পায়ে কী স্কিল! নিজের বাড়ির বাগানে বল নিয়ে তার কারিকুরির ভিডিও ধারণ করলেন তার মা জোয়ান্নে র্যাডক্লিপ। ভিডিওটা তিনি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। মুহূর্তেই ভাইরাল। ইংল্যান্ডজুড়ে সবার কম্পিউটারের স্ক্রিনেই ভেসে বেড়াতে লাগলো তিন বছরের জ্যাক্সন লালের ফুটবল খেলার এই ভিডিওটি।

Jaxon

এমন অসাধারণ, বিস্ময় বালকটির ভিডিও চোখে পড়লো কয়েকজন স্কাউটের। তারাই খবরটা জানালো ম্যানচেস্টার সিটিকে। ম্যানসিটির কর্মকর্তারাও ভিডিওটি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, বিস্ময় শিশুটিকে হাতছাড়া করবে না। তারা সিদ্ধান্ত নিল, ক্লাবের অ্যাকাডেমিতে এনে তাকে ফুটবল প্রশিক্ষণ দেবে। অ্যাকাডেমির কোচের সঙ্গে দেখা করার কথা এখন জ্যাক্সন লালের।

এত ছোট বয়সে কিভাবে এমন স্কিলগুলো রপ্ত করলো শিশু জ্যক্সন? তার মা জোয়ান্নে র্যাডক্লিফ নিজেই জানিয়েছেন, তিনি নিজেই ছেলেকে শিখিয়েছেন এগুলো। তিনি আশা করেন তার ছেলেও একদিন বিশ্বসেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মত হবেন।

জোয়ান্নে প্রতিদিনই জ্যাক্সন এবং তার চেয়ে এক বছর বেশি বয়সী রিলেকে নিয়ে ফুটবল খেলতেন, অনুশীলন করতেন। তবে তিনি কখনওই ভাবেননি যে এত দ্রুত তার ছেলে পেশাদার কোন ক্লাবের দৃষ্টিতে পড়ে যাবেন। তিনি নিজেই বলেন, `আমি শুধু বাগানে জ্যাক্সনের খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করি ফেসবুকে এবং সেটি শেয়ার করি তার বড় ভাই রিলের অনুর্ধ্ব-৬ মেডলক জুনিয়র দলের ফেসবুক পেজে।`

Jaxon

এরপরের ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, `এরপর আমি কল পেলার সিটির স্কাউট দলের কাছ থেকে। বিষয়টা কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি মনে করলাম, এটা হয়তো হাওয়ায় ভেসে আসা কোন কল হবে।`

জোয়ান্নে সারাজীবনই ম্যানইউর ভক্ত, সমর্থক। বসবাস করেন ড্রইলসডেনে।  তিনিই জানালেন, তার ছেলেই কি না বিরোধী ক্লাব ম্যানসিটির কাছ থেকে ডাক পেয়ে গেলো। ক্লাবের একাডেমী কোচ ফোন করে বললেন দেখা করার জন্য। তিনি বিশ্বাস করেন, তার ছেলেই সম্ভবত সবেচেয় কনিষ্ট ফুটবলার যে কোন পেশাদার ক্লাবের পক্ষ থেকে ডাক পেলো।

ম্যানসিটি একাডেমী কোচরাও বিস্ময়াভিভূত হয়ে গেছেন এত ছোট শিশুর খেলা দেখে। জোয়ান্নেই বললেন, `ম্যানিসিটি ক্লাবের অ্যাকাডেমী কোচরা তো বিশ্বাসই করছিলেন না তার বয়স মাত্র তিন।` ছেলের খুশির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে মিস র্যাডক্লিফ বলেন, `জ্যাক্সন তো আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়। প্রতিদিনই যেন তার কাছে ক্রিসমাস ডে। সে প্রতিদিনই আমাকে জিজ্ঞাসা করে, আর কতদিন লাগবে মাঠে নেমে খেলতে?`

সূত্র: মিরর অনলাইন

আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।