মুশফিকদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে রোমাঞ্চিত সামারাভিরা


প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার সাবেক টেস্ট ব্যাটসম্যান থিলান সামারাভিরাকে। শনিবার ঢাকায় পা রেখেছেন তিনি। সাকিব-মুশফিকদের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করবেন তিনি। টাইগারদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করবেন? তা নিয়ে হয়তো তার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাজে সহায়তা করবেন তিনি। মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-সাব্বির-সৌম্যদের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে রোমাঞ্চিত এই পরামর্শক।

দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন সামারাভিরা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা একটা উচ্ছ্বাসের ব্যাপার যে আপনি এক ঝাঁক দুর্দান্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য কাজ করছেন। সত্যিই আমি রোমাঞ্চিত। প্রথম দিন আমি শুধু জানতে চেয়েছি কয়েক নতুন খেলোয়াড়দের সম্পর্কে। বাংলাদেশ দলে কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে, যাদের বিপক্ষে আমি খেলেছি। অন্য দিন আমি গোটা দলের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কাজ করেছি।’

খন্ডকালীন পরামর্শক ব্যাটিং কোচ হিসেবে ঢাকায় এসেছেন সামারাভিরা। প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাজের চাপ কমাতেই সামারাবীরাকে কাজে লাগানোর চিন্তা করেছে বিসিবি। সাবেক লঙ্কান এই তারকাও চান সিরিজ বাই সিরিজ কাজ করতে। তাই আফগানিস্তান এবং ইংল্যান্ড সিরিজে নিজের সেরাটাই হয়তো ঢেলে দেবেন তিনি। বলেন, ‘আপাতত আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে কাজ করতে হবে। ২৫ হাজার দর্শকের সামনে যে আন্তর্জাতিক ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে, সেই ম্যাচের জন্য আরো লম্বা সময় ধরে কাজ করা দরকার। তাই প্রথম লক্ষ্য আফগানদের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচে ভালো করা। তারপর ভাবতে হবে ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে।’

দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সামরাভিরা বলেন, ‘এখন থেকে আমরা দেখবো, ইংল্যান্ড সিরিজের পর কী ঘটে। তারপর ভেবে দেখবো, এ কাজটা দীর্ঘ নাকি স্বল্পমেয়াদের হবে। আমি মানসিকভাবে উৎপাদনশীল। আমি দেখব, টেকনিক্যাল স্টাফ বিষয়টা কীভাবে বিবেচনায় নেয়।’
    
কোচিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতাই পছন্দ সামরাবীরার। বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফদের মধ্যে এটা বিরাজমান। এই স্বাধীন কোচিংই বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেবে বলে বিশ্বাস লঙ্কান পরামর্শকের। বলেন, ‘আমি মনে করি, কোচিং স্টাফ হাথুরুকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে। তারাও এটা উপভোগ করছে। সবার মাঝেই দেখলাম এই বিশ্বাস যে, বড় দলকে হারাতে পারে টাইগাররা। এটা অবশ্য গত ১৮ মাস ধরেই আমরা দেখে আসছি। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে। এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। আমি মনে করি, এই আত্মবিশ্বাসই মাশরাফিদের সামনে ভালো খেলার বড় পাথেয় হবে।’

এনইউ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।