আফগানদের হালকাভাবে নিচ্ছেন না মাশরাফি-তামিম


প্রকাশিত: ০৪:৪৭ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দীর্ঘ একটা বিরতি। সেই এশিয়া কাপে ঘরের মাঠে ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তো আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যেই নেই। সুতরাং, দীর্ঘ সময় বলা চলেই। অবশেষে সেই দীর্ঘ অবসরের পালা শেষ হতে চললো। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই মাঠে গড়াচ্ছে ক্রিকেট। মাশরাফিদের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজের আগে আফগানদের বিপক্ষেই লড়তে হবে ওয়ানডে সিরিজে।

টেস্ট খেলুড়ে দেশ না হলেও আফগানিস্তানকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তারা দু’জনই জানালেন, ইংল্যান্ড সিরিজের আগে আফগানিস্তান সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজকে মোটেও হালকাভাবে নেয়ার অবকাশ নেই। আফগানিস্তানের সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডকেও হারাতে চান তারা।

বাংলাদেশ সফরের জন্য ইতিমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করে ফেলেছে ইংল্যান্ড। যদিও দেখা যাচ্ছে, ওয়ানডের চেয়ে টেস্ট স্কোয়াড মোটামুটি শক্তিশালি। কারণ, ওয়ানডে স্কোয়াডে নেই অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান এবং ওপেনার আলেক্স হেলস। সিরিজ থেকে তারা নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। আর বিশ্রাম দেয়া হয়েছে রান মেশিন জো রুটকে। অপরদিকে, টেস্ট দলে রয়েছেন প্রায় সবাই। অ্যালিস্টার কুক থেকে স্টুয়ার্ট ব্রড, জেমস এন্ডারসন- সবাই।

তবে যেহেতু ইংল্যান্ড সিরিজের আগে আফগানিস্তান সিরিজ, এ কারণে এটাকেই আগে গুরুত্ব দিলেন মাশরাফি। তিনি বলেণ, ‘ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই আমাদের কাছে রয়েছে আফগানিস্তান সিরিজ। সুতরাং, এটা আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা এই সিরিজে ভালো করতে পারি তাহলে এটা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আমাদের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস যোগাবে। তাহলে অনেক কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

ইংল্যান্ডকেও হালকাভাবে নিতে রাজি নন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডও খুবই শক্তিশালি একটি দল পাঠাচ্ছে। দলটি সত্যিই দুর্দান্ত। বেন স্টোকস, মঈন আলি, জেসন রয়রা রয়েছেন। মিডল অর্ডারে জনি ব্যারেস্ট দুর্দান্ত খেলছেন। আদিল রশিদ অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছেন। জো রুটকে কোন যৌক্তিক কারণে হয়তো পাঠাচ্ছে না। তবে, তার অর্থ এই নয় যে দলটি কম শক্তিশালি।’

আফগানিস্তান সিরিজকে গুরুত্বপূর্ণ বললেন তামিম ইকবালও। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন শুধু আফগানিস্তান সিরিজের দিকেই মনযোগ দিচ্ছি। তাদের বিপক্ষে এই তিনটি ম্যাচ আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজের ফলাফলই বলে দেবে, আগামী ৬-৭ মাসে আসলে আমরা কেমন করবো। এই সিরিজ থেকেই আমাদেরকে একটা ছন্দে থাকতে হবে। ইংল্যান্ড সিরিজ কিংবা এর পরবর্তী সিরিজগুলোতে ভালো খেলার জন্য এই ম্যাচটিতে অবশ্যই আমাদের ভালো করতে হবে।’

সর্বশেষ চারবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে তিনটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বিশ্বকাপে টানা দু’বার জিতেছে বাংলাদেশ। তামিম বিশ্বাস করেন, জয়ের এই রেকর্ড পূণরাবৃত্তি হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই সিরিজে খেলতে নামবো জয়ের লক্ষ্যেই। আমরা আগেও প্রমাণ করেছি যে, ইংল্যান্ডকে হারানোর যোগ্যতা রাখি।’

২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা আসার কথা রয়েছে আফগানিস্তানের। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর সিরিজের প্রথম ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ সেপ্টেম্বর এবং তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১ অক্টোবর।

আইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।