মরিনহোর ম্যানইউকে হারিয়ে দিলো গার্দিওলার ম্যানসিটি


প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যাচটা মাঠে গড়ানোর আগেই চলছিল বাগযুদ্ধ। ম্যানইউ আর ম্যানসিটির হাত ধরে আবারও যেন এল ক্ল্যাসিকো ফিরে এলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। হোসে মরিনহো আর পেপ গার্দিওলার কল্যাণে। সময়ে পরিক্রমায় স্প্যানিশ লা লিগা ছেড়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে প্রতিদ্বন্দ্বীতাটা চলে এলেও, ঝাঁঝ এতটুকু কমেনি। বরং যেন বেড়েছে।

সেই বাড়তি ঝাঁঝ নিয়েই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানইউ-ম্যানসিটি মুখোমুখি হয়ে গেলো মৌসুমের প্রথম ডার্বিতেই। শুধু ডার্বির জন্যই নয়, স্পেনের পর এই ম্যাচ দিয়েই যে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বীতা শুরু হলো মরিনহো-গার্দিওলার। মর্যাদাপূর্ণ এই লড়াইয়ে ঘরের মাঠেই হোসে মরিনহোর ম্যানইউ ২-১ গোলে হেরে গেলো পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটির কাছে। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের গোলও বাঁচাতে পারলো না ম্যানইউকে। মরিনহোকে হারিয়ে শেষ হাসিটা হাসলেন গার্দিওলাই।

ম্যানচেস্টার ডার্বির আগ পর্যন্ত তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে ম্যানইউ, ম্যানসিটি এবং চেলসি। ম্যানইউকে হারিয়ে দিয়ে এককভাবে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠে গেলো ম্যানচেস্টার সিটি। যদিও চেলসির একটি ম্যাট এখনও কম খেলা হয়েছে এবং ৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

কেভিন ডি ব্রুইন আর আগুয়েরোর পরিবর্তে মাঠে নামান কেলেচি ইহিয়ানাচোর প্রথমার্ধের দেয়া গোলেই জয়ের দেখা মেলে ম্যানসিটির। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি গোল করে শুধু ব্যবধানই কমিয়েছেন, পরাজয় এড়াতে পারেননি।

পুরো খেলা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, খেলার অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণই ছিল ম্যানসিটির কাছে। প্রথমার্ধে তো আরও বেশি। একচেটিয়া খেলায় শুরুতেই এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। ১৫ মিনিটেই এলো প্রথম গোল। তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ সার্জিও আগুয়েরোর জায়গায় নামা সিটি স্ট্রাইকার ইহিয়ানাচো ফ্লিক করে বল দেন কেভিন ডি ব্রুইনের দিকে। সিটি মিডফিল্ডার বলটি কাটিয়ে নিয়ে ইউনাইটেড গোলকিপার ডেভিড ডি গিয়ার পাশ দিয়ে পাঠিয়েও দিলেন ম্যানইউর জালে জালে। সিটি এগিয়ে গেলো ১-০ ব্যবধানে।

২১ মিনিট পর, অথ্যাৎে খেলার ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেলো ম্যানসিটি। এবার কেভিন ডি ব্রুইন গোলটির নির্মাতা, গোল করলেন ইহিয়ানাচো। ম্যানইউর দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে বেরিয়ে বক্সের ডান দিক থেকে বাঁ পায়ে শট নেন ডি ব্রুইন; কিন্তু বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। সেটিই গিয়ে পড়লো গোল পোস্টের ২-৩ গজ সামনে দাঁড়ানো ইহিয়ানাচোর পায়ে। এমন সহজ সুযোগ কেউ মিস করে? সুতরাং, সেখান থেকে বলটাকে জালে জড়িয়ে দিতে কোনোই কার্পন্য করলেন না এই তরুণ নাইজেরিয়ান।  

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার কারণে যেন মাথায় আগুণ ধরে গেলো মরিনহোর। দলকে গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি। সেই নির্দেশ শুনেই যেন ম্যাচে ফিরে আসে ম্যানইউ। তবে এ ম্যাচেই সিটির জার্সিতে অভিষিক্ত গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভোর শিশুতোষ ভুলেরও ‘অবদান’ আছে। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক ঠেকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়দের ভিড়ের মধ্যে। বল লুফে নেওয়া দূরে থাক, কোনোক্রমে হাত ছোঁয়াতে পারলেন শুধু। বল গিয়ে পড়ল ইব্রাহিমোভিচের পায়ে। সুতরাং, গোল! ধুঁকতে থাকা ম্যানইউ করে ফেলল ২-১!

দ্বিতীয়ার্ধে দু’দল মিলে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজালেও আর কেউ কারও জালে বল জড়াতে পারলো না্ শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ম্যানসিটি।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।