বিশ্বকাপের প্রথম সেঞ্চুরি, হ্যাট্রিক


প্রকাশিত: ০৭:৩৩ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্বকাপ মানেই একেবারেই অন্যরকম রোমাঞ্চ। এখানে প্রতি চার বছর পরপরই ভেঙে যায় বহু বছরের পুরনো রেকর্ড, আবার সৃষ্টি হয় নতুন কিছু অমরগাথা। কিন্তু কিছু ইনিংস, কিছু পারফরমেন্স রয়ে যায় সকল কিছুর ঊর্ধ্বে। কারণ তারাই পথ দেখিয়েছিল রেকর্ড বুকের। পাঠকদের জন্য এবার তুলে ধরা হল এমন দুটি রেকর্ডের কথা যা কেউ কোনদিন ভাঙতে পারবেন না।

প্রথম সেঞ্চুরি:
ইংলিশ ওপেনার ড্যানিস অ্যামিসের এই রেকর্ড কোনদিন কেউ ভাঙতে পারবেন না। ১৯৭৫ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে সবার আগেই সেঞ্চুরি করে বসেন তিনি। বিশ্বকাপ যতবারই আসবে ততবারই মনে পড়বে অ্যামিসের নাম। এটা এমন এক কীর্তি যা তাকে অমর করে রাখবে।

ভারতের বিপক্ষে অ্যামিস সেদিন ১৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ১৪৭ বলে। বাউন্ডারি মেরেছিলেন ১৮টি। অ্যামিসের দুরন্ত ইনিংসের সৌজন্যে ৬০ ওভারের ম্যাচে ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে তুলেছিল ৩৩৪ রান। ভারত পুরো ৬০ ওভার খেলে ৩ উইকেটের বিনিময়ে তুলেছিল মাত্র ১৩২ রান।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচেই এক ভূতুরে ইনিংস খেলে রেকর্ড বুকে জায়গা করে নেন ভারতের কিংবদন্তী ওপেনার, লিটল মাষ্টার খ্যাত সুনীল গাভাস্কার। তিনি এই ম্যাচে পুরো ৬০ ওভার ব্যাটিং করেন এবং ১৭৪ বল মোকাবেলা করে করেন মাত্র ৩৭ রান।

প্রথম হ্যাট্রিক:
১৯৭৫-১৯৮৭, পার হয়ে গেলো তিনটি বিশ্বকাপ, ৪র্থ বিশ্বকাপে পদার্পণ করলো ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর। কিন্তু এখনো একটি হ্যাট্রিকের জন্য হাহাকার করছিলো এই টুর্নামেন্ট। শুধু তাই নয়, ওয়ানডে ফরম্যাটেও, ১৬ বছরের ইতিহাসে এই হ্যাট্রিক ছিল খুবই বিরল ঘটনা। তবে ৮৭`র বিশ্বকাপ অবসান ঘটালো সকল প্রতীক্ষার। খুঁজে পাওয়া গেলো সবেধন নীলমণি হ্যাট্রিককে। তাও একটি নয়, দুটি। সর্বপ্রথম ভারতের চেতন শর্মার দেখালেন বিরল কৃতিত্ব।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাট্রিক করে বসেন তিনি। অথচ আগের ৫ ওভার খুবই সাদামাটা বোলিং করেছিলেন শর্মা। ষষ্ঠ ওভারে এসেই একে একে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান কেন রাদারফোর্ড, ইয়ান স্মিথ এবং ইওয়েন চ্যাটফিল্ডকে। ভারতও ওই ম্যাচ জিতে উঠে যায় গ্রুপের শীর্ষে।

এআরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।