সুসময়ের অপেক্ষায় নাসির


প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬

কতটা উপকার হয়েছে, এক মাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে সত্যি সত্যি ক্রিকেটারদের ফিটনেস লেভেল কতখানি বেড়েছে- তা বলে দেবে সময়ই।

আফগানিস্তানের সাথে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে শুরু হবে। এরপর শুরু হয়ে যাবে দারুণ ব্যস্ততা। অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পূর্নাঙ্গ সিরিজ। ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে নিউজিল্যান্ড সফর। এরপর ফেব্রুয়ারীতে ভারতে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এবং মার্চে শ্রীলংকা সফর। এরপর ২০১৭ সালের জুনে ইংল্যান্ডে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি- সব মিলিয়ে ব্যস্ত ক্রিকেট সুচি।

এরকম টানা খেলার জন্য পর্যাপ্ত ফিটনেস প্রয়োজন। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের ধারনা, গত এক মাসের বেশি সময় ধরে যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প হয়েছে, তা ক্রিকেটারদের ফিটনেস বাড়ানোর পাশাপাশি ইনজুরি থেকে দুরে রাখতে কার্যকর ভুমিকা রাখবে।

বুধবার দুপুরে জাতীয় দলের অনুশীলনের পর স্থানীয় প্রচার মাধ্যমের সাথে আলাপে তেমনই ইঙ্গিত নাসিরের কন্ঠে- ‘আমার মনে হয় আমাদের সবার ফিটনেসে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমার নিজেরও শারীরিক সক্ষমতা বেড়েছে। কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরুর আগে বিøপ টেস্টে আমার অনুপাত ছিল ১০:৬। এখন হয়েছে ১১:৩। আমার একারই না, সবারই উন্নতি হয়েছে। সব মিলে খুব ভাল সেশন কাটছে।’

আগামী এক বছর টানা খেলা। সে অর্থে বিশ্রামের সময় কম। এক মাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার ফুরসতও মিলবে কম। তাই এ কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আয়োজন। এ উদ্যোগকে স্বাগত: জানিয়ে নাসির বলেন, ‘কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুধু ফিটনেসই বাড়ায় না। ক্রিকেটারদের ইনজুরি থেকেও নিরাপদে রাখে। আগামী এক বছর প্রায় টানা খেলা। তাই এমন কন্ডিশনিং ক্যাম্প আয়োজনের সুযোগ থাকবে না আর। তাই আমার মনে হয় এ ক্যাম্পে আমাদের সবার অনেক উপকার হয়েছে।’

অভিষেকের পর এক সময় জাতীয় দলে অপরিহার্য্য সদস্য বনে যাওয়া। আবার মাঝে দল থেকে ছিটকে পড়া। তারপর দলে ফিরেও একাদশে জায়গা মিলছে না। সব মিলিয়ে মিশ্র অনুভুতি নাসিরের।

ক্যারিয়ারে দু’রকম সময়ের অভিজ্ঞতা- নাসির এটাকে জীবনের শিক্ষা বলেই মনে করেন। এ সম্পর্কে তার অনুভব, ‘জীবনে অনেক কিছুই শেখার আছে। মানুষের জীবনে ভাল ও মন্দ দুই’ই থাকে। আমার জীবনেও এসেছে। আমি এটাকে ইতিবাচক মানসিকতা হিসেবে নিয়েছি। এখন হয়ত খারাপ সময় যাচ্ছে। আশা করছি আবার ভাল সময় আসবে ইনাশাল্লাহ।’

সর্বশেষ বিশ্ব টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে দলে থেকেও কোন ম্যাচে সুযোগ পাননি তিনি। এটা কতটা হতাশার? এমন প্রশ্নের জবাবে নাসির বলেন, ‘ওটাতো আমার হাতে নেই। টিম ম্যানেজমেন্ট যা ভাল মনে করেছে, তাই করেছে। আমি পারফরমেন্স দিয়ে আবার জায়গা পুনরূদ্ধারের চেষ্টা করছি।’

এক সময় ‘ফিনিশারের’ তকমা লেগে গিয়েছিল গায়ে। এখন তা নেই। এই না থাকা অবশ্যই দুঃখের, যন্ত্রনার। নাসিরের কথা, ‘অবশ্যই মিস করি। তবে ফিনিশ করতে গেলে তো সুযোগ পেতে হবে। এখন যদি আমাকে না খেলায় , তাহলে কিভাবে ফিনিশ করবো?’

এআরবি/আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।