দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ জয়


প্রকাশিত: ০৬:৩৪ এএম, ৩১ আগস্ট ২০১৬

সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে স্টেইন-গানের গোলায় চার দিনেই উড়ে গেল কিউইরা। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ২০৪ রানে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ডারবান টেস্ট ড্র হওয়ার পর এই জয়ে সিরিজও জিতেছে প্রোটিয়ারা। পাশাপাশি টেস্ট র‌্যাংঙ্কিংয়ের সাত থেকে পাঁচে উঠে এসেছে তারা।

afrikaআগের দিন ৩৭২ রানে এগিয়ে থাকা প্রোটিয়ারা চতুর্থ দিন সকালে ইনিংস ঘোষণা করে ৪০০ রানের লক্ষ্য দিয়ে।টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে মাত্র চারটি। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটিও নেই। সেই পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং। নিজের প্রথম ওভারেই স্টেইন ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও টম লাথামকে। প্রথম বলে বোল্ড লাথাম। শেষ বলে দুর্দান্ত আউট সুইংয়ে হাশিম আমলাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গাপটিল।

সেই ধাক্কার রেশ থাকতেই স্টেইনের আবার আঘাত। এবার নীচু হওয়া বলে এলবিডব্লিউ রস টেলর। আরেক পাশে ভার্নন ফিল্যান্ডারও যোগ দিলেন উইকেট শিকার উৎসবে। ফিরিয়ে দিলেন কিউইদের সবচেয়ে বড় ভরসা কেন উইলিয়ামসনকে। চতুর্থ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান তখন ৪ উইকেটে ৭!

ম্যাচের ভাগ্য ততক্ষণে মোটামুটি লেখা হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন বিজে ওয়াটলিং ও হেনরি নিকোলস। পঞ্চম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। ওয়াটলিং (৩২) ফিরে গেলেও শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন নিকোলস। তাতে কেবল হারের ব্যবধানই কমেছে। অলআউট হওয়ার আগে সফরকারীরা তুলেছে ১৯৫ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে নিকোলস আউট হয়েছেন ৭৬ রানে। আর নিকোলসকে সাজঘরে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারে এই নিয়ে ২৬ বার  ৫ উইকেট পেলেন স্টেইন।

দুই ইনিংসে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ৮২ ও ৫০ রানের পাশাপাশি ম্যাচে ৬ ডিসমিসালে ম্যাচের সেরা কুইন্টন ডি কক। তবে প্রোটিয়াদের বড় প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে চোট ঝামেলা পেছনে ফেলে আবার বিধ্বংসী স্টেইনকে ফিরে পাওয়া!

এমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।