মোস্তাফিজের অভাব পূরণের চ্যালেঞ্জ আল-আমিনদের


প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০১৬

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসছে ইংল্যান্ড। এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে তিনটি ওয়ানডে খেলতে আসবে আফগানিস্তান। ইংল্যান্ড সিরিজের পর নিউজিল্যান্ড সফরে যাবেন টাইগাররা। অথচ এ সিরিজগুলোতে পাচ্ছে না বাংলাদেশের সেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে। তবে কাটার মাস্টারের অভাব পূরণ করার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন আল-আমিনরা।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে আল-আমিন বলেন, ‘মোস্তাফিজের ছয় মাস সময় লাগবে। এ জায়গায় তাসকিন, রুবেল ভাই, মাশরাফি ভাই কিংবা আমি যে-ই থাকি না কেন খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ ওর যেই ভিন্নতা, ওর যেই অস্ত্র সেগুলো আমাদের চারজনের কারোরই নেই। এজন্য আমাদেরকে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। সেরাটা যদি দিতে পারি শেষ কয়েক বছরে যেই ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছি সেটা ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষেও খেলতে পারব।’

নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে মোস্তাফিজের অভাব পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন আল-আমিন। গত বছর থেকেই পেস বোলিংয়ে দারুণ সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ। দলে যে যখন সুযোগ পাচ্ছেন সেই পারফরম্যান্স করছেন বলে জানান আল-আমিন। দীর্ঘদিনের ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন রুবেল হোসেন। আর নিষেধাজ্ঞা কাটাতে আগামী মাসের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন তাসকিন। তবে দুজনই দারুণভাবে ফিরবেন বলে আশা করছেন আল-আমিন।  

‘আসলে মুস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল ভাই কিংবা মাশরাফি ভাই ও আমি যে যখন সুযোগ পেয়েছি তখন নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সেক্ষেত্রে রুবেল ভাই অনেক দিন বাইরে ছিল। আমার বিশ্বাস সে খুব স্ট্রংলি ফিরে আসবে। তাসকিনও ফিরে আসবে। যতটুকু ওর সমস্যা ছিল সেটা ও রিকোভার করছে।’

তবে মোস্তাফিজের অনুপস্থিতিতে কীভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার পরিকল্পনা জানাননি আল-আমিন। তার মতে, ভিন্ন দল ও উইকেট বিবেচনা করে নির্ভর করছে ভিন্নভাবে পরিকল্পনা করেন তারা।

‘উইকেট কী রকম হবে তার উপর ভিত্তি করবে আমাদের পরিকল্পনা। ভারত, ইংল্যান্ড বা আফগানিস্তান যেই আসে সবার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কিন্তু এক রকম হয় না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করা হয়ে থাকে। ওরা আসলে বোঝা যাবে যে কি পরিকল্পনা করতে হবে।’

আরটি/এনইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।