মাশরাফির বিশ্বাস বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড


প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০১৬

বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল। এমন খবরই ফলাও করে প্রচার করেছে ইংল্যান্ডের কয়েকটি গণমাধ্যম; কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আশা করছেন, বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড। এমনকি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হবে বলেও বিশ্বাস করছেন দেশ সেরা এ পেসার।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে বিসিবির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মাশরাফি বলেন, ‘প্রথমতো আমি বলবো আসতে এবং এখনো আমি বিশ্বাস করি তারা আসবে। স্বাভাবিক অবস্থা থাকলেও অন্য দলগুলোকে যেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারের পক্ষ থেকে সেভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হবে। আমার বিশ্বাস, এ ধরনের সমস্যা হবে না আশা করি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি বলবো খেলা চালু রাখতে।’

শুধু বাংলাদেশ নয়, বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই জঙ্গি হুমকি রয়েছে। কিছুদিন আগে ফ্রান্সে ইউরো কাপ চলাকালীন সময়ও বোমা হামলা হয়েছে। এ সকল উদাহরণ তুলে ধরেন মাশরাফি। এ কারণেই আশা করছেন, ইংল্যান্ড দল আসবে বাংলাদেশে। এটা ভেবেই দলের সব ক্রিকেটারকে খেলার দিকেই মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

‘পৃথিবীর সব জায়গাতেই এ ঘটনাগুলো ঘটছে। এভাবে খেলা বাদ দিলে এক সময় তো খেলাই বন্ধ হয়ে যাবে। ফ্রান্সের মতো জায়গায় সন্ত্রাসী হামলার পর কিন্তু ইউরো হয়েছে। সব দল খেলেছে। সব জায়গাতেই এখন কম বেশি সমস্যা হচ্ছে। আমি মনে করি খেলোয়াড়াদের উচিত খেলার দিকে ফোকাস করা। বাকি বিষয়গুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাতে ছেড়ে দেওয়া। যেহেতু তাদের বোর্ড থেকে আমাদের বোর্ডে প্রতিনিধি দল এসেছে। তাদের উপর অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে।’

ক’দিন আগে ইংলিশ ক্রিকেটারদের জন্য নেয়া বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজামিনে দেখার জন্য ইংল্যান্ডের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসে। তবে এখানকার হোটেল এবং স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও তারা প্রশ্ন তোলেন যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে। তবে বিষয়টি তাদের ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত হিসেবেই নিয়েছেন মাশরাফি।  

‘উনারা যেহেতু দেখতে এসেছিলেন, একটা বিষয় নিয়ে বলতেই পারেন যে, এটা ঠিক করা যায় কি না; কিন্তু এখন যেগুলো শুনতেছি, এগুলো কোন সেন্সে বলেছে এটা আমি জানি না। আমার কাছে মনে হয় আমাদের ওই ক্ষমতা আছে যে নিরাপত্তা দিয়ে বিদেশি খেলোয়াড়াদের ঠিকভাবে নিয়ে যাওয়া এবং নিয়ে আসার। আমাদেরও কিন্তু পরিবার আছে। আমরাও তো মানুষ। আমাদের যাতায়াতের বিষয়টি এর মধ্যেই পড়ে। আমি মনেকরি, বিসিবি খুব ভালোভাবে সামলাতে পারবে বিষয়টা। এটা খুব কঠিন কাজ নয়, আমার বিশ্বাস।’

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি ওয়ানডে ও দু’টি টেস্ট খেলতে ঢাকায় আসার কথা ইংল্যান্ডের। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠিত হবে এ সিরিজের সবগুলো ম্যাচ।

আরটি/আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।