কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ড
এক রকম ভাগ্যের সহায়তা নিয়ই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো নেদারল্যান্ড। শেষ পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে ডাচরা।
ম্যাচের ৮৬ মিনিট পর্যন্ত ১-০ তে পিছিয়ে ছিলো নেদারল্যান্ড। ৮৭ মিনিটের মাথায় স্নাইডার ডি-বক্সের বাহির থেকে বুলেট গতির এক শটে প্রতিহত করে মেক্সিকো গোলরক্ষক ওচোয়াকে। স্নাইডারের এই গোলে সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ড।
এরপর, ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে ৯৪ মিনিটে মেক্সিকো অধিনায়ক মারকুয়েজ ডি-বক্সের ভিতরে রোবেনকে ফাউল করলে পেলান্টির বাঁশি বাজান রেফারী। আর পেলান্টি থেকে গোল করে নেদারল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যান স্ট্রাইকার হান্টেলার।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টায় মেক্সিকোর বিপক্ষে মাঠে নামে নেদারল্যান্ড। ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচের প্রথমার্ধে নেদারল্যান্ডের আক্রমন অনেকটা ছন্নছড়া দেখায়। অপরদিকে, প্রথম থেকেই নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে একের পর এক ক্ষুরধান আক্রমণ চালাতে থাকে মেক্সিকো। মেক্সিকোর আক্রমন সামলাতেই প্রথমার্ধে ব্যস্ত দেখা গেছে ডাচদের।
ম্যাচের ৩ মিনিটে মেক্সিকোর মিগুয়েল লাউনের শট নেদারল্যান্ডের বারের উপর দিয়ে যায়। এরপর, ম্যাচের ১৭ মিনিটে মেক্সিকোকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মিগুয়েল হেরেরা। ডস সান্তোসের পাস থেকে দারুণ শট নিলেও তা নেদারল্যান্ডের গোল বার ঘেঁষে চলে যায়। ২৪ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে দারুণ এক শট নেন মেক্সিকোর সালসিদো। কিন্তু নেদারল্যান্ডের গোলরক্ষক তা দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন।
খেলার ২৭ মিনিটে মেক্সিকোর গোলবার মুখে শট নেওয়ার সুযোগ পায় নেদারল্যান্ড। তবে রবিন ফন পার্সির শটটি লক্ষভ্রষ্ঠ হয়। এরপর ৪৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মেক্সিকোর ডিবক্সে ঢুকে পরেন অ্যারিয়ান রোবেন। এই সময় মেক্সিকান ডিফেন্ডার মার্কুয়েজ তাকে ট্যাকল করলে পেলান্টির আবেদন করেন রোবেন। তবে রেফারি তাতে সাড়া দেয়না। প্রথমার্ধে উভয় দলই গোল করতে ব্যর্থ হওয়াতে গোল শূণ্য অবস্থায় প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরে শুরুতেই এগিয়ে যায় মেক্সিকো। ৪৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেন দস সান্তোস। শূন্য থেকে বুক দিয়ে বল রিসিভ করে ৩০ গজ দূর থেকে দর্শনীয় শটে গোল করেন সান্তোস। ১-০ তে পিছিয়ে পরে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে ডাচরা। ৫৭ মিনিটে ডি ভ্রিজের জোরালো শট ফিরিয়ে দেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক গুইলার্মো ওচোয়া। ৭৩ মিনিটে ওচোয়া আবারও রোবেনের দারুণ একটি প্রচেষ্ঠা রুখে দেন।
এরপর ম্যাচের ৮৭ মিনিটের মাথায় বুলেট গতি এক শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান স্নাইডার। সর্বশেষ অতিরিক্ত সময়ের ৯৪ মিনিটে পেলান্টি থেকে গোল করে নেদারল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যান হান্টেলার।