‘টেস্টই পরবর্তী লক্ষ্য বাংলাদেশের’


প্রকাশিত: ১২:৫৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৬

গত বছর থেকেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে বাংলাদেশ। তবে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগুতে পারেনি টেস্ট ক্রিকেট। ২০০০ সালে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৯৩টি টেস্ট খেলে মাত্র সাতটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। তাই এবার বাংলাদেশের লক্ষ্য টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করা। এমনটাই জানালেন দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস।

বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দলের হয়ে অনুশীলন করতে আসেন নাফীস। অনুশীলন শেষে বিসিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি। আমরা কিন্তু ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতে একটা পজিশন করে নিয়েছি। তবে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটে পারফরম্যান্স খুব একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা যদি টেস্ট জিততে চাই, পাঁচদিন ভালো ফিল্ডিং, ভালো ব্যাটিং, ভালো বোলিং এবং পাঁচদিন নিজেদের ফিটও থাকতে হবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য সেটাই এবং সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।’

টেস্ট ক্রিকেটে জয়ের জন্য টানা পাঁচদিন ভালো খেলতে হবে- এ কথা বারবারই উল্লেখ করেন নাফীস। তবে পাঁচদিন ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভালো খেলার পাশাপাশি ফিল্ডিংয়ের উন্নতিতে বিশেষ নজর দিতে বলেন তিনি। তার মতে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির মত টেস্ট ক্রিকেটেও ভালো ফিল্ডিং দিয়ে দলকে জয় এনে দেওয়া সম্ভব। উদাহরণ হিসেবে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বেশ কিছু সহজ ক্যাচ মিস করার মাশুল হিসাবে তৃতীয় টেস্টে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।

‘বাইরের থেকে মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটে ফিল্ডিং অনেক সহজ, কম করলেও হয়। ব্যাপারটা তা না। আপনি যদি সম্প্রতি শেষ হওয়া ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজে দেখেন পাকিস্তান যদি আরেকটু ভালো ফিল্ডিং করতো, ক্যাচ মিস কম করতো, তাহলে তারাই সিরিজ জিততে পারতো। টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভার ও ওয়ানডেতে ৫০ ওভার সর্বোচ্চ প্রখরতা নিয়ে, কিন্তু টেস্টে যদি জিততে চান পাঁচ দিনের আড়াই দিন যদি ফিল্ডিং করেন ওই আড়াই দিনই ভালো ফিল্ডিং করতে হবে। টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে ফিল্ডিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

আরটি/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।