ছয় মিনিট হৃদস্পন্দন বন্ধ, তবুও বাঁচলেন হানিফ


প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৬

‘রাখে আল্লাহ মারে কে?’ এমন একটি প্রবাদ আছে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হানিফ মোহাম্মদের ক্ষেত্রেও তা প্রমাণিত হলো আরো একবার। ছয় মিনিট হৃদস্পন্দন বন্ধ ছিল তার। তবুও যমদূতের হাত থেকে বেঁচে গেলেন সাবেক এই ক্রিকেটার! বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন তার ছেলে শোয়েব মোহাম্মদ।  

তিন বছর আগে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন মোহাম্মদ হানিফ। পুরনো সেই রোগ আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় গত রোববার করাচির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেতিন থেকেই তার অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে।

আজ বৃহস্পতিবার চিকিৎসা চলাকালীন হঠাৎ তার হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৬ মিনিটের জন্য তা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা ধরেই নিয়েছিলেন যে তিনি মারা গেছেন। পরিবারকে তার এই অবস্থার কথা জানানো হয়। এতে অনেকে ভেবেছিলেন, হানিফ মোহাম্মদকে আর বাঁচানো যাচ্ছে না! ঠিক তখনই চিকিৎসকরা সুখবর দেন, তিনি বেঁচে আছেন।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে ৫৫টি টেস্ট খেলে ৪৩.৯৮ গড়ে ৩ হাজার ৯১৫ রান করেন হানিফ। এর মধ্যে রয়েছে ১২টি সেঞ্চুরি। তবে তিনি ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন তার দুটো ইনিংসের সুবাদে। এক. ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিজটাউন টেস্টে তিনি ৯৭০ মিনিট ব্যাট করে ৩৩৭ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন। টেস্ট ইতিহাসে হানিফের এই ইনিংসটি এখন পর্যন্ত দীর্ঘতম হিসেবে বিবেচিত।

পরের বছরই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে করাচির হয়ে তিনি খেলেন ৪৯৯ রানের ইনিংস। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এটাই ছিল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ৫০১ রান করে হানিফের সেই রেকর্ডটি ভেঙে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্রায়ান লারা।

এনইউ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।