নেইমারকে কৃতিত্ব দিলেন সেই ‘বাদর`


প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৬

তারকা খেলোয়াড়দের থেকে অনেক প্রত্যাশাই থাকে ভক্তদের। সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে শুনতে হয় দুয়ো। কখনো কখনো এমন কিছু শব্দ শুনতে হয়, যা ওই খেলোয়াড়কে ডোবায় চরম হতাশায়। খেলাধুলাকে ছেড়ে দিতেও তখন দ্বিধাবোধ করেন না!

তেমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ব্রাজিলের রাফায়েলা সিলভার ক্ষেত্রেও। ২০১২ সালে অলিম্পিকে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ভক্তরা ‘বাদর’ বলে দুয়ো দিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ এই অ্যাথলেটকে। ক্ষোভে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন সিলভা।

neymar

সেই খবর শুনে রাফায়েলা সিলভাকে ধৈর্য্য ধরতে পরামর্শ দিয়েছিলেন নেইমার। ব্রাজিল ফুটবল দলের অধিনায়কের কথা শুনেছিলেন এই অ্যাথলেট। জবাবটা মাঠে দেয়ার জন্য মুখিয়ে ছিলেন ২৪ বছর বয়সী নারী অ্যাথলেট। ঘরের মাঠে চলমান অলিম্পিকে প্রথম দুটি দিন হতাশায় কাটানো ব্রাজিলকে আসরটির প্রথম সোনা জেতালেন সিলভা, তৃতীয় দিনে।

মেয়েদের জুডোতে ৫৭ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনার পদক জেতার জন্য নেইমারকে কৃতিত্ব দিলেন সেই ‘বাদর’ সিলভা।  বলেন, ‘লন্ডনে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকই ছিল আমার প্রথম আসর। স্বপ্নকে ছুঁতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। এমনকি জুডোকে ছেড়েই দিতে চেয়েছিলাম। নেইমার আমাকে একটি বার্তা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, আমি যেন জুডো চালিয়ে যাই। তার সমর্থন পেয়ে আমি উজ্জ্বীবিত হয়েছিলাম।’
 
ঘরের মাঠে অলিম্পিকে সোনা জেতার রোমাঞ্চিত সিলভা বলেছিলেন, ‘জুডো আমার জীবন। ঘরে মাঠে লড়তে খুব পছন্দ আমার। কারণ একটাই, স্বাগতিক দর্শক। তাদের হইহুল্লোড় আমাকে ভালো খেলতে সাহায্য করে।’   

এনইউ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।