২০ দল দেশকে নৈরাজ্যের জনপদে পরিণত করেছে : ঢাবি শিক্ষক সমিতি


প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট চলমান অবরোধে গোটা দেশকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের জনপদে পরিণত করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি। রোববার এক বিবৃতিতে তারা এ মন্তব্য করেছেন।

বিবৃতিতে আরো বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারকে আরো কঠোর অবস্থানে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নেতৃবৃন্দ আহবান জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চরম অবস্থায় নিপতিত করতে যারা দেশব্যাপী ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

তারা বলেন, গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে গতবছরের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে নিরীহ মানুষ হত্যা, আইন-শৃংখলা বাহিনীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা, নারী ও শিশু হত্যা, স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ককটেল নিক্ষেপ, বোমার আঘাতে শিক্ষিকা হত্যাসহ- এ পর্যন্ত প্রায় ২৭ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।

তারা আরো বলেন, আন্দোলনের নামে দেশের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি, যানবাহন ভাংচুর, রেল লাইন উপড়ে ফেলাসহ এহেন অমানবিক কর্মকাণ্ড নেই যা তারা করছে না। অপরদিকে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া বিবৃতি প্রদান ও ভারতীয় ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রধান অমিত শাহ’র নামে টেলিফোন জালিয়াতির মাধ্যমে রাজনীতির নামে প্রতারণা ও ভন্ডামির নির্লজ্জ দৃষ্টান্তও তারা স্থাপন করেছে। এতে জামায়াত-বিএনপির সম্মানহানি না হলেও, এদেশের আত্মমর্যাদাশীল জনসাধারণের মান-সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ এসব অনাকাঙ্খিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের কাছে সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে আরো কঠোর শান্তি বিধান ও ক্ষতিগ্রহস্তদের সম্পূর্ণ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানান।

-আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।