ক্রিকেটারদের মনোযোগী থাকার পরামর্শ হাথুরুর


প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০১৬

ইংলিশরা ৩০ সেপ্টেম্বর আসুক। বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজ নির্বিঘ্নে হোক- এমনটাই প্রত্যাশা সবার। বিসিবি থেকেও এখন পর্যন্ত বেশ ইতিবাচক কথা বার্তাই শোনা যাচ্ছে; কিন্তু কঠিন সত্য হলো ওই সিরিজ হবেই, ইংল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল যথাসময়ে বাংলাদেশে আসবেই- ইসিবি এখন পর্যন্ত তেমন পাকা কথা দেয়নি।

মোদ্দা কথা, ইংলিশদের বাংলাদেশে আসা নিয়ে একটা ধোঁয়াটে অবস্থা আছেই। যে সিরিজের পরতে পরতে এখনো অনিশ্চয়তা মাখা, তার প্রস্তুতি কি অন্যসব সিরিজের মত নেয়া যায়? সেখানে কি শতভাগ মনোযোগ ও মনোসংযোগী থাকা যায়?

অবচেতন মনে কি নানা সংশয়-সন্দেহ ও প্রশ্ন উকি-ঝুঁকি দেয় না? বাংলাদেশে এসে জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দেয়ার ২৪ ঘণ্টা পর এমন প্রশ্নর মুখোমুখি হতে হলো বাংলাদেশ দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে।

এ লঙ্কানও মানছেন পরিবেশ ও পরিস্থিতি পুরোপুরি আদর্শ নয়। তবে ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা একটাই, ‘সিরিজ হবে কি হবে না- তা নিয়ে অতশত ভাবা-ভাবির কিছু নেই। সেটা আমাদের হাতে না। যেহেতু হাতে সময় আছে।  আমরা ভাল করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারি। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী যতটা সম্ভব ভালোমত তৈরিও হতে পারি।’

ক্রিকেটারদেও শতভাগ ফোকাসড থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কোচ। তিনি নিজেই জানান, ‘আমি ছেলেদের আরও বলেছি, এখানে সুবিধা অসুবিধার কিছু নেই। ক্রিকেটের প্রতি শতভাগ ফোকাস থাকো। কারণ এরকম পরিস্থিতিতে মনোযোগ, মনোসংযোগ ধরে রাখা সহজ নয়।’

৪৮ ঘণ্টা আগে ঢাকায় পা রাখা বাংলাদেশ দলের হেড কোচ মঙ্গলবারসহ জাতীয় দলের সাথে দুটি প্র্যাকটিস সেশন কাটিয়েছেন। তার ধারণা, সব কিছু ঠিক মতই চলছে। প্রস্তুতি সম্পর্কে কিছু বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আগে থেকেই ঠিক করা ছিল, প্রস্তুতি পর্বই শুরু হবে ফিটনেস ক্যাম্প দিয়ে। তাই চলছে। আমরাও আসতে একটু সময় নিয়েছি। তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ অনুশীলন চালানোর মত কিছু যোগ্য লোক ছিলেন, যাদের ওপর আমার আস্থা ও বিশ্বাস আছে।’

সেই ২০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি ক্যাম্প। এখন কন্ডিশনিং ক্যাম্প না চললেও সত্যিকার স্কিল ট্রেনিং শুরু হয়নি। কোচ জানিয়ে দিয়েছেন সেটা শুরু হবে, ২০ আগস্ট থেকে। তবে হাথুরুর মত পুরোদমে স্কিল ট্রেনিং শুরু না হলেও ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি অন্য  অনুশীলনও চলছে।

তার ভাষায় এখন চলছে ফিল্ডিং প্র্যাকটিস। ক্রিকেটারদের থ্রো করার শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। যাতে তারা বেশ দুর থেকে এক ট্রিপে কিপারের গøাভসে বা বোলারের হাতে বল ছুড়ে দিতে পারেন। ২০ আগস্ট থেকে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলনের পাশাপাশি কিছু প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার কথাও জানান কোচ।

‘ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন শুরুর পর আমরা কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি ইংল্যান্ড আসার আগে ছেলেরা বিসিএলও খেলবে।’

এআরবি/আইএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।